You dont have javascript enabled! Please enable it!

ফুলছোঁয়া যুদ্ধ (হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর)

ফুলছোঁয়া যুদ্ধ (হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর) সংঘটিত হয় ১০ই ডিসেম্বর। আবু তাহের (পিতা আকবর আলী মিয়াজী, ইছাপুর), সিরাজুল হক (পিতা ডা. আবদুল ওহাব, ইছাপুর), শাহজাহান মোল্লা (পিতা আবদুর রশিদ মোল্লা, ছয়ছিলা), সুনীল চন্দ্র দাস (নাটেহারা), শহীদ উল্লাহ (পিতা নওয়াব আলী, ইছাপুরা)সহ ১৫/১৬ জন মুক্তিযোদ্ধা এতে অংশগ্রহণ করেন। এ-যুদ্ধে পাকবাহিনীর পরাজয় হয় এবং তারা আত্মসমর্পণ করে।
পাকহানাদার বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে এ যুদ্ধটি হয় হাজীগঞ্জ উপজেলার ফুলছোয়াঁ গ্রামের বেপারী বাড়িতে। পাকবাহিনী চাঁদপুর আক্রমণের টার্গেট নিয়ে ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট থেকে মূল রাস্তা কুমিল্লা-চাঁদপুর হাইওয়ের পরিবর্তে গ্রামের ভেতর দিয়ে অগ্রসর হয়। তারা নওহাটা মাদ্রাসার সামনে এলে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের ওপর অতর্কিতে গুলি বর্ষণ শুরু করেন। পাল্টা গুলি করতে-করতে পাকবাহিনী নওহাটা মাদ্রাসার দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে বেপারী বাড়িতে অবস্থান নেয়। মুক্তিযোদ্ধারা চারদিক থেকে বেপারী বাড়ি ঘিরে ফেলেন এবং চাঁদপুর-কুমিল্লা রোডে অবস্থানরত মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় পাকবাহিনীকে আত্মসমর্পণ করানোর সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা শামছুল হক মোল্লা আত্মসমর্পণের প্রস্তাব নিয়ে পাকবাহিনীর কাছে গেলে তারা তাতে সম্মত হয়ে আত্মসমর্পণ করে। [জহিরুল ইসলাম]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!