You dont have javascript enabled! Please enable it!

ফুলতলা চা-বাগান যুদ্ধ (জুড়ী, মৌলভীবাজার)

ফুলতলা চা-বাগান যুদ্ধ (জুড়ী, মৌলভীবাজার) সংঘটিত হয় ১৫ই অক্টোবর। এতে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ক্যাপ্টেন এম এ জলিল মাসুক। তাঁর সহ- অধিনায়ক ছিলেন এম এ মুমিত আসুক। এ-যুদ্ধে ৩০ জন পাকসেনা নিহত হয়। বাকিরা পালিয়ে যায়।
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী স্থান ফুলতলার বাংলাদেশ অংশে বটুলি এবং ভারতীয় অংশে রাঘনা সীমান্ত ফাঁড়ি। মুক্তিযুদ্ধের সময় রাঘনা সংলগ্ন রাণীবাড়িতে মুক্তিযাদ্ধাদের একটি বড় ক্যাম্প ছিল। অন্যদিকে ফুলতলা চা-বাগানে ১টি ও ফুলতলা বাজারে পাকবাহিনীর আর ১টি ক্যাম্প ছিল। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে মুক্তিযোদ্ধাদের দ্বারা ফুলতলা বাজারের পতন হয়। এতে মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল বৃদ্ধি পায়। এরপর তাঁরা ফুলতলা চা-বাগানস্থ পাকিস্তানিদের ক্যাম্প দখলের সিদ্ধান্ত নেন। তাঁরা এম এ জলিল মাসুকের অধিনায়কত্বে ৫৫ জনের একটি দল গঠন করেন। এ দলে পুলিশ, ইপিআর, আনসার ও মুজাহিদ বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন। ১৫ই অক্টোবের এ আক্রমণে গেরিলাযোদ্ধা দেবাশীষ মজুমদার টিপু, মতিউর রহমান ওরফে আবদুল মতিন, মোবারক আহমদ, আজমল আলী, আবদুছ ছাত্তার, গৌরাঙ্গ দেব, জমির আলী প্রমুখ অংশ নেন। এঁরা সবাই ছিলেন জুড়ীর সন্তান। রাস্তা ও এলাকা চেনা থাকায় তাঁদের পক্ষে আক্রমণ পরিচালনা করা সহজ ছিল। রাত ৪টা থেকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত চলা আক্রমণে পাকবাহিনীর ক্যাম্প তছনছ হয়ে যায়। এ-যুদ্ধে ৩০ জন পাকসেনা নিহত হয়। বাকিরা পালিয়ে যায়। [হাসনাইন সাজ্জাদী]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!