You dont have javascript enabled! Please enable it!

ফুলদহেরপাড়া গণহত্যা (সরিষাবাড়ী, জামালপুর)

ফুলদহেরপাড়া গণহত্যা (সরিষাবাড়ী, জামালপুর) সংঘটিত হয় ২৫শে সেপ্টেম্বর। জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার বারইপটল ইউনিয়নের ফুলদহেরপাড়া গ্রামে সংঘটিত এ গণহত্যা জামালপুর জেলার অন্যতম নৃশংস গণহত্যা হিসেবে পরিচিত। এতে বহু সাধারণ মানুষ নিহত হয়। নিহতদের গ্রামেই গণকবর দেয়া হয়।
ফুলদহেরপাড়া গ্রামের মানুষ কাদেরিয়া বাহিনীর হুমায়ুন কোম্পানির শতাধিক মুক্তিযোদ্ধাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও কাদেরিয়া বাহিনীর সদস্যরা একযোগে জগন্নাথগঞ্জ ঘাট ও পিংনায় অবস্থিত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও রাজাকারআলবদরদের ক্যাম্প আক্রমণের . পরিকল্পনা করেন। কিন্তু আলবদর নেতা রুস্তুম আলী ও আয়ুব আলীর কারণে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পূর্বে মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমণের শিকার হন।
আলবদর নেতা রুস্তুম আলী ও আয়ুব আলী মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান ও পরিকল্পনার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে পাকহানাদার বাহিনীকে অবহিত করে। ফলে মুক্তিযোদ্ধারা পুরোপুরি প্রস্তুতি গ্রহণের পূর্বেই পাকবাহিনী ও রাজকারআলবদররা। তিন দিক থেকে ঘিরে ফেলে মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর অতর্কিতে গোলাবর্ষণ শুরু করে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার যুদ্ধে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম ওরফে ইতিম আলীকে কভারিং ফায়ারের দায়িত্বে রেখে পুরো কোম্পানি উইথড্র করা হয়। এক পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলামের গুলি ফুরিয়ে যায় এবং তিনি যুদ্ধে শহীদ হন। পরে পাকহানাদার বাহিনী ও রাজাকারআলবদররা গ্রামটিতে হামলা চালিয়ে বহু বেসামরিক মানুষকে হত্যা এবং গ্রামের সমুদয় সম্পদ লুণ্ঠন করে। নিহতদের গ্রামে গণকবর দেয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধপরবর্তী সময়ে স্থানীয় জনগণ স্থানটিকে শহীদনগর নাম দেয়। প্রতিবছর ২৫শে সেপ্টেম্বর শহীদনগর দিবস পালন করা হয়। [এ এইচ এম মাছুদুর রহমান]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!