You dont have javascript enabled! Please enable it!

ফারুকী পার্ক স্মৃতিসৌধ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর)

ফারুকী পার্ক স্মৃতিসৌধ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে ফারুকী পার্কে অবস্থিত। ১৯৮৫ সালে ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এটি নির্মিত হয়। এর নকশা করেন স্থপতি মহিউদ্দিন আহমদ খান।
মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাকিস্তনি বাহিনীর উভচর একটি ট্যাংক বিকল হয়ে যায় এবং মুক্তিবাহিনীর প্রচণ্ড আক্রমণে পাকিস্তানি বাহিনী ট্যাংকটি ফেলে রেখেই পশ্চাদপসরণ করে। পরবর্তী সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুক্তিযোদ্ধারা ট্যাংকটিকে শহরের ফারুকী পার্কে মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক হিসেবে স্থাপন করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার বর্গ এবং এলাকাবাসীর কাছে এ ট্যাংকটি বিজয়ের স্মারকে পরিণত হয়। আসা-যাওয়ার পথে ট্যাংকটি দেখে এলাকাবাসী মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করত।
১৯৮২ সালে দেশে সামরিক শাসন জারির পর ১৯৮৩ সালের ১৩ই এপ্রিল ট্যাংকটি কুমিল্লা সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়া হয়। ট্যাংকটিকে স্থানান্তরের ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জনতা তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল। তারা আন্দোলন-সংগ্রামও করেছিল। শেষ পর্যন্ত এখানে একটি মনোরম স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করে দেয়ার প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে এলাকাবাসী ট্যাংকটি হস্তান্তরে সম্মত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৪ সালের ১৯শে মে তৎকালীন উপ- আঞ্চলিক সামরিক আইন প্রশাসক (উপ-অঞ্চল-১২) ব্রিগেডিয়ার আমসা আমিন পিএসসি ফারুকী পার্কে স্মৃতিসৌধের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯৮৫ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। তিনটি স্তম্ভবিশিষ্ট এ স্মৃতিসৌধে প্রতিবছর ২৬শে মার্চ ও ১৬ই ডিসেম্বর বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনসহ সকল স্তরের জনগণ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে। [জয়দুল হোসেন]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!