ফরিদপুর থানা যুদ্ধ (ফরিদপুর, পাবনা)
ফরিদপুর থানা যুদ্ধ (ফরিদপুর, পাবনা) উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৮ই ডিসেম্বর শুরু হয়ে ১১ই ডিসেম্বর পর্যন্ত এ-যুদ্ধ চলে। এ কয়েকদিন মুক্তিযোদ্ধারা থানা অবরুদ্ধ করে রাখেন। এখানকার যুদ্ধে কয়েকজন পাকসেনা এবং ২ জন রাজাকার নিহত হয়। যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় ও ফরিদপুর থানা হানাদারমুক্ত হয়।
৮ই ডিসেম্বর ফরিদপুরের নিশিপাড়া এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে আব্দুল মজিদ, আব্দুর রাজ্জাক, নূর মোহাম্মাদ, আব্দুস সাত্তার, বিরেন, আমিন ও অন্যান্যরা ফরিদপুর থানা আক্রমণ শুরু করেন। পার্শ্ববর্তী গ্রাম এবং এলাকা থেকে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা এবং সাধারণ মানুষ থানার দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। ১১ই ডিসেম্বর চূড়ান্ত যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধে কয়েকজন পাকসেনা এবং নুরু ও জিল্লুর নামে ২ জন রাজাকার নিহত হয়। বাকি পাকসেনারা রাজাকারদের সহায়তায় পাবনা পাকসেনা ক্যাম্পে পালিয়ে যায়। যুদ্ধে বিজয়ের পর বেশ কয়েকজন রাজাকারকে গ্রেফতার করে ফরিদপুরের রাজবাড়ীতে স্থাপিত মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। এ-যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় অর্জন করেন। মুক্তিযোদ্ধা এবং সাধারণ মানুষের সমন্বয়ে শুরু হয় বিজয় উৎসব। ফরিদপুর থানায় উত্তোলিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। এ-সময় জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। তাতে নেতৃত্ব দেন খ ম কামরুজ্জামান মাজেদ। [মো. আশরাফ আলী]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ড