You dont have javascript enabled! Please enable it!

ফয়জাবাদ বধ্যভূমি (বাহুবল, হবিগঞ্জ)

ফয়জাবাদ বধ্যভূমি (বাহুবল, হবিগঞ্জ) হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলায় অবস্থিত। মুক্তিযুদ্ধের সময় এখানে বহু লোককে হত্যা করা হয়।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রশিদপুর চা-বাগান ও গ্যাস কূপের পাশে গভীর অরণ্যে ভরপুর ফয়জাবাদ হিল। ২০শে এপ্রিল পাকবাহিনী বাহুবলে অনুপ্রবেশ করে মিরপুর থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দক্ষিণে হাফিজপুর গ্রামের দিঘির পাড়ে ক্যাম্প স্থাপন করে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকদের ধরে এনে এ ক্যাম্পে নির্যাতন করা হতো। নির্যাতনের পর হত্যা করে ফয়জাবাদ হিলের গভীর জঙ্গলের লেকে ফেলে দেয়া হতো। পাকবাহিনী ও তাদের দোসর দালাল ও রাজাকার বাহিনী এ গণহত্যা ঘটায়। এখানে বহু লোক গণহত্যার শিকার হয়েছেন। ১৬ই ডিসেম্বরের পর এ বধ্যভূমিতে শতশত মানুষের কঙ্কাল পাওয়া যায়। কিন্তু পরিচয় পাওয়া গেছে মাত্র ১৬ জনের। তারা হলেন- আছলম খান (পিতা মাহতাব খান, পূর্বজয়পুর), আব্দুল হামিদ (পিতা সৈয়দ উল্লা, বিহারীপুর), নিতাই বনিক ওরফে নিত্যানন্দ কর (পিতা বিষ্ণুচরণ কর, বানিয়ারগাঁও), কৃপেশ ভট্টাচার্য (পিতা কালীধন ভট্টাচার্য,পূর্বজয়পুর), মনছব উল্লা (পিতা তরিকত উল্লা, মামদনগর), আনছব উল্লা (পিতা তরিকত উল্লা, মামদনগর), আব্দুর রহিম ওরফে রহিম উল্লা (পিতা হাতিম উল্লা, দাসপাড়া), ইদ্রিছ আলী (পিতা রইছ উদ্দিন, বিহারীপুর), নায়েক ছুরত আলী (পিতা আজরত আলী, আব্দানারায়ন), হিরন মিয়া (পিতা মিয়াধন উল্লা, পূর্বজয়পুর), সফিক মিয়া (পিতা মামদ আলী, কটিয়াদি), গোপাল চন্দ্ৰ দেব (পিতা নগেন্দ্র দেব, মোদাহরপুর), আমির হোসেন (পিতা নিয়াজত উল্লা, শাহাপুর), আবুল হোসেন (পিতা নিয়াজত উল্লা, শাহাপুর), আজিজুর রহমান (পিতা আব্দুল ওয়াহাব, চক্রামপুর) এবং সফিকুর রহমান ওরফে হাবিবুর রহমান (পিতা মাওলানা আব্দুর বারিক, মশাজান, হবিগঞ্জ সদর)। [মিলন রশীদ]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!