You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.12.06 | ফরহাদাবাদ গণহত্যা (হাটহাজারী, চট্টগ্রাম) - সংগ্রামের নোটবুক

ফরহাদাবাদ গণহত্যা (হাটহাজারী, চট্টগ্রাম)

ফরহাদাবাদ গণহত্যা (হাটহাজারী, চট্টগ্রাম) সংঘটিত হয় ৬ই ডিসেম্বর। এতে ৫ জন গ্রামবাসী শহীদ এবং ২০ জনের অধিক আহত হন।
হাটহাজারী থানার মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সংগঠক ফজলুল আমিন মাস্টারের বাড়ি ফরহাদাবাদ গ্রামে। এছাড়া কমান্ডার মোহাম্মদ মইনুদ্দিন, কমান্ডার হারুনুর রশিদ, কমান্ডার আবুল মনসুর, কমান্ডার এস এম ইলিয়াছ, কমান্ডার মো. আবুল হাশেম, নৌ-কমান্ডো ফারুকী আজম, বীর প্রতীক, কমান্ডার মোক্তারুল আলম, সিইনসি স্পেশাল আবদুল হালিম, কমান্ডার মাহবুবুল আলম চৌধুরী, কমান্ডার ছালে জহুর, কমান্ডার শামসুল হুদা, কমান্ডার ফজল করিম, কমান্ডার বাদশা আলম, কমান্ডার মো. ইউনুছসহ প্রায় অর্ধশতাধিক মুক্তিযোদ্ধা ফরহাদাবাদ গ্রামেরই সন্তান। তাই মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই হানাদার বাহিনীর সতর্ক দৃষ্টি ছিল এই গ্রামের প্রতি। স্থানীয় রাজাকার, আলবদর – ও -আলশামাস-রাও সর্বদা ভীত-সন্ত্রস্ত থাকত, কখন মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে তাদের প্রাণ যায়। ফলে তারা হানাদার বাহিনীর সহযোগিতায় এ গ্রামে একের পর হামলা করে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের না পেয়ে তারা গ্রামবাসীদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে, জ্বালিয়ে দেয় বাড়িঘর, লুটে নেয় সহায়-সম্পদ। এরূপ পরিস্থিতে ৬ই ডিসেম্বর পাকসেনাদের বিশাল এক বহর স্থানীয় রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে অতর্কিতে ফরহাদাবাদ গ্রামে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এতে ৫ জন শহীদ ও ২০ জনের অধিক আহত হন। শহীদরা হলেন- নূরুল হুদা (পিতা দানা মিয়া), মো. তৈমন আলী (পিতা অছি মিয়া), আবদুল নবী (পিতা সুলতান আহমদ), অলিউর জামান (পিতা গুরন মিয়া) এবং আবদুল হালিম (পিতা খলিল আহমদ)। [জামাল উদ্দিন]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ড