বীর প্রতীক ফজলুল হক
ফজলুল হক, বীর প্রতীক (১৯৪১-১৯৯৯) বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ১৯৪১ সালের ২১শে জানুয়ারি সিলেট জেলার জকিগঞ্জ থানার খাদিমান (গঙ্গাজল) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আরজদ আলী এবং মাতার নাম জয়গুন নেসা। তিনি গঙ্গাজল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।
১৯৫৯ সালে ইপিআর (ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস)-এ সৈনিক পদে যোগদানের মধ্য দিয়ে ফজলুল হকের কর্মজীবন শুরু হয়। চাকরি-জীবনের শুরুতে তিনি সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে তিনি চুয়াডাঙ্গায় ইপিআর-এর ৪র্থ উইং-এ হাবিলদার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২৫শে মার্চ পাকবাহিনী কর্তৃক বাঙালি নিধনের প্রতিবাদে বিদ্রোহ করে তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। তিনি বয়রা সাব-সেক্টর থেকে ঝিকরগাছা অপারেশনে বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করেন। এছাড়া তিনি ৮নং সেক্টরের অধীনে প্রথমে মেজর আবু ওসমান চৌধুরী এবং পরে মেজর এম এ মঞ্জুরের নেতৃত্বে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন যুদ্ধে অংশ নেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার ফজলুক হককে ‘বীর প্রতীক’ খেতাবে ভূষিত করে (গেজেট নং ৪৫২, খেতাবের সনদ নং ২০২)। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি বিডিআর (বাংলাদেশ রাইফেলস)-এ যোগদান করেন এবং ১৯৮৫ সালে অবসরে যান। ব্যক্তিজীবনে তিনি দুই কন্যা ও দুই পুত্র সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রীর নাম বেলা খাতুন। ১৯৯৯ সালের ২১শে ডিসেম্বর এ বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়। [জালাল আহমেদ]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ড