You dont have javascript enabled! Please enable it!

পূর্ব গোমদণ্ডী বণিকপাড়া যুদ্ধ (বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম)

পূর্ব গোমদণ্ডী বণিকপাড়া যুদ্ধ (বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম) সংঘটিত হয় ১৬ই ডিসেম্বর। এতে ২ জন পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয় এবং একজন মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ধরা পড়ে। বণিকপাড়া বোয়ালখালী উপজেলা সদর-সংলগ্ন একটি গ্রাম। পাশে গোমদণ্ডী রেলস্টেশন। রেলস্টেশনে পাকবাহিনীর দোসরদের অবস্থান ও আনাগোনা ছিল। এলাকার জনগণ প্রতিনিয়ত তাদের অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হতো। ৯ মাস যুদ্ধকালে কিছুসংখ্যক পাকিস্তানি সমর্থক ছাড়া গ্রামে কোনো জনমানব ছিল না। পেশাগতভাবে গ্রামের অধিকাংশ লোক ছিল স্বর্ণকার। ১৬ই ডিসেম্বর সকাল ১১টায় উপজেলা সদরে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা উড়ছিল। মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ জনগণ বিজয়ের আনন্দে উপজেলার দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। কধুরখীল গ্রাম ও আশপাশে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের একটি গ্রুপ বণিকপাড়ার ভেতর দিয়ে উপজেলা সদরে আসছিল। এ-সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ৩ জন সদস্য বণিকপাড়ার সুধাংশু দে-র মাটির তৈরি একটি ঘরে লুকিয়ে ছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের ২৫ জনের একটি গ্রুপ বণিকপাড়ার কাছাকাছি আসতেই পাকিস্তানি সৈন্যদের সঙ্গে তাঁদের যুদ্ধ হয়। এতে ২ জন পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়। বাকি একজনকে মুক্তিযোদ্ধারা আটক করে চট্টগ্রাম শহরের সার্কিট হাউসে অবস্থানরত ভারতীয় সেনাবাহিনীর হেডকোয়ার্টার্সে হস্তান্তর করেন। কোম্পানি কমান্ডার আবুল বশর এ যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন এবং তাঁকে সহযোগিতা করেন ডা. শান্তি শীল [উদয়ন নাগ]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!