পূর্ব নারায়ণপুর গণহত্যা (উজিরপুর, বরিশাল)
পূর্ব নারায়ণপুর গণহত্যা (উজিরপুর, বরিশাল) সংঘটিত হয় ১৭ই মে। এতে অর্ধশতাধিক গ্রামবাসী শহীদ হন।
উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম নারায়ণপুর। বরিশাল সদর থেকে প্রায় ২৫ কিমি পশ্চিমে এ গ্রামের অবস্থান। হানাদার বাহিনীর ভয়ে গ্রামের অধিকাংশ হিন্দু গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে গেলেও মুসলমানরা গ্রামেই থেকে যায়। ঘটনার দিন পাকিস্তানি সেনারা গানবোটে গুঠিয়া এসে পায়ে হেঁটে সকাল ১১টায় পূর্ব নারায়ণপুরে প্রবেশ করে। গ্রামে প্রবেশ করেই তারা যাকে যেখানে পেয়েছে তাকে সেখানেই হত্যা করেছে। পূর্ব নারায়ণপুর গ্রাম গণহত্যায় অর্ধশতাধিক গ্রামবাসী শহীদ হন। সুলতান কাজী (৭০) (পিতা হাতেম কাজী, পূর্ব নারায়ণপুর) ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি দেখেছেন কীভাবে হালের নাটাই ধরা, মাটিকাটা, ধানক্ষেত ও পাটক্ষেতে কাজ করা অবস্থায় নিরীহ লোকজনকে তারা হত্যা করে। এ গণহত্যার শিকার ১৩ জন গ্রামবাসীর নাম জানা গেছে। তারা হলেন- মেহের উদ্দীন হাওলাদার (৬০) (পিতা রহিম উদ্দিন হাওলাদার), সেকেন্দার হাওলাদার (৫০) (পিতা রহিম উদ্দিন হাওলাদার), ফারুক খাঁ (৩০) (পিতা ফজলু খাঁ), রহমান হাওলাদার (৬০), রহিম খাঁ (৪০) (পিতা গহর খাঁ), মনসুর খাঁ (৬৫), হানিফা (২০), হাকিম খাঁ (২০) (পিতা ইসমাইল খাঁ), তাসেন হাওলাদার (৪৫), জগেশ্বর সমাদ্দার (৪০), আশ্রাব আলী (৩৫) (পিতা হাতেম আলী ফকির), মোফাজ্জল গোলন্দাজ (৪০) (পিতা করম আলী গোলন্দাজ) ও আবদুল হাকিম (১০) (পিতা তাসেন হাওলাদার)। [মনিরুজ্জামান শাহীন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ড