You dont have javascript enabled! Please enable it!

পুটিবিলা কায়স্থপাড়া গণহত্যা (মহেশখালী, কক্সবাজার)

পুটিবিলা কায়স্থপাড়া গণহত্যা (মহেশখালী, কক্সবাজার) সংঘটিত হয় ৬ই মে। এ গণহত্যায় ২০ জনের অধিক মানুষ শহীদ হন। তাদের গণকবর দেওয়া হয়। মহেশখালী পৌর এলাকার পুটিবিলা কায়স্থপাড়ায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ৬ই মে আক্রমণ চালায় এবং মহেন্দ্র বিকাশ ভট্টাচার্যসহ বেশ কয়েকজনকে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পাকিস্তানি সৈন্যরা তাদের স্থানীয় দালালদের সহযোগিতায় এ গণহত্যা চালায়। হানাদারদের দোসর ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার ও চৌকিদাররা পাকিস্তানি সৈন্যদের পথ দেখিয়ে নিয়ে আসে। তারা কায়স্থপাড়ায় প্রবেশ করে জগৎ বন্ধু পালের কালীবাড়ির পূজারি ব্রাহ্মণ মণীন্দ্র লাল ভট্টাচার্য ও মহেন্দ্ৰ বিকাশ ভট্টাচার্য এবং বাড়িতে থাকা টুনু পাল ও মণীন্দ্র পালকে গুলি করে হত্যা করে। এ-সময় তারা হিন্দু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের কয়েকজন নারীকে ধর্ষণ ও নির্যাতন করে। একই সঙ্গে তারা কায়স্থপাড়ার অনেক বাড়িঘরে লুণ্ঠন শেষে অগ্নিসংযোগ করে। হানাদার বাহিনীর আক্রমণে ভীত হয়ে কেউ-কেউ পাহাড়ের পানের বরজে লুকানোর চেষ্টা করে। রাজাকাররা তাদের খুঁজে বের করে এনে হানাদারদের হাতে তুলে দেয়। কায়স্থপাড়া গণহত্যায় ২০ জনের অধিক মানুষ শহীদ হন। তাদের মধ্যে ১১ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন— পুটিবিলা কায়স্থপাড়ার মহেন্দ্র বিকাশ ভট্টাচার্য (পিতা নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্য), মণীন্দ্র লাল ভট্টাচার্য (পিতা কালী কুমার ভট্টাচার্য), সুরেন্দ্র কুমার দে (পিতা রামকুমার দে), কৃষ্ট চরণ দে (পিতা গৌর চরণ দে), প্রসন্ন কুমার পাল (পিতা ফকির চাঁন পাল), জগবন্ধু দে (পিতা বাঁশি রাম দে), মনহরি দে (পিতা রসিক চন্দ্র দে), সুধাংশু কুমার দে (পিতা বিনয় চন্দ্ৰ দে), ফণীন্দ্র পাল (পিতা প্রসন্ন কুমার পাল), টুনু পাল ও মণীন্দ্র পাল। গণহত্যার পর শহীদদের পুটিবিলা কায়স্থপাড়া শ্মশানে সমাহিত করা হয়। [জগন্নাথ বড়ুয়া]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!