You dont have javascript enabled! Please enable it!

পুঠিয়া গণহত্যা (পুঠিয়া, রাজশাহী)

পুঠিয়া গণহত্যা (পুঠিয়া, রাজশাহী) সংঘটিত হয় ১২ই এপ্রিল। এতে ৪৩ জন সাধারণ মানুষ শহীদ হন।
ঘটনার দিন পাকবাহিনী ঝলমলিয়া বাজারে গণহত্যা ও জ্বালাও-পোড়াও করে সেখান থেকে অগ্রসর হয়ে বেলা ১.৪৫ মিনিটের দিকে পুঠিয়ায় আসে। পুঠিয়ায় পৌঁছেই তারা ব্যাপক অগ্নিসংযোগ ও কয়েকজনকে হত্যা করে। এদিন সন্ধ্যায় তারা আশে-পাশের গ্রামের আরো অনেককে হত্যা করে। পাকবাহিনী সেদিন মোট ৪৩ জন সাধারণ মানুষকে হত্যা করে। শহীদরা হলেন- দেবু পাল (পিতা কৃষ্ণকান্ত পাল, পাঠিয়া বাজার), শিবুনাথ পাল (পিতা ক্ষুদিরাম পাল, পুঠিয়া বাজার), অলক কুমার দত্ত (পিতা সচিত্র মোহন দত্ত, পুঠিয়া বাজার), ভুপেন (পুঠিয়া বাজার), কানু বৈরাগী (পিতা শিরিষ বৈরাগী, রামজীবনপুর), মটন শাহ কুণ্ডু (পিতা ভুবনেশ্বর কুণ্ডু, রামজীবনপুর), প্রদীপ কুমার কুণ্ডু (পিতা মটন শাহ কুণ্ডু, রামজীবনপুর), হারেজ খাঁ (পিতা তমেজ উদ্দিন খাঁ, রামজীবনপুর), ইয়াসিন আলি (পিতা কিয়ামত মণ্ডল, তারাপুর), খলিলুর রহমান (পিতা হারু প্রামাণিক, তারাপুর), সুবিদ প্রামাণিক (পিতা নামদার প্রামাণিক, তারাপুর), রুস্তম আলি (পিতা হাতেম আলি, তারাপুর), জনাব আলি (পিতা হাতেম আলি, তারাপুর), বাহার উদ্দিন মণ্ডল (পিতা রহিমুদ্দিন মণ্ডল, তারাপুর), আশু প্রামাণিক (পিতা ভ্রমর প্রামাণিক, তারাপুর), আব্দুস সামাদ (পিতা উজির আলি, তারাপুর), হযরত আলি (পিতা বোধয় আলি, তারাপুর), বেরেশ প্রামাণিক। (পিতা বরু প্রামাণিক, তারাপুর), এমাজ আলি (পিতা রমজান আলি, তারাপুর), আকবর আলি (পিতা আজগর আলি, তারাপুর), এমাজ উদ্দিন (পিতা কায়েম উদ্দিন, তারাপুর), সিরাজ উদ্দিন (পিতা আব্বাস আলি মণ্ডল, পূর্ব কাঠালবাড়িয়া), জনাব আলি (পিতা মানিক মিয়া, পূর্ব কাঠালবাড়িয়া), গেদি খাতুন (পিতা সাধু সরদার, পূর্ব কাঠালবাড়িয়া), মহিতন খাতুন (পিতা সাধু সরদার, পূর্ব কাঠালবাড়িয়া), সালিমুন খাতুন (পিতা হযরত আলি, পূর্ব কাঠালবাড়িয়া), অনি সরদার (পিতা আলম সরদার, পূর্ব কাঠালবাড়িয়া), নাজিম উদ্দিন (পিতা অনি সরদার, পূর্ব কাঠালবাড়িয়া), আমজাদ আলী (পিতা অনি সরদার, পূর্ব কাঠালবাড়িয়া), ওয়াজাতুন খাতুন (পিতা অনি। সরদার, পূর্ব কাঠালবাড়িয়া), মজু মণ্ডল (পিতা সেতু মণ্ডল, পূর্ব কাঠালবাড়িয়া), তফিন সরদার (পিতা বকুদ্দাহার সরদার, পূর্ব কাঠালবাড়িয়া), কুদ্দুস সরদার (পিতা ইয়ন প্রামাণিক, পূর্ব কাঠালবাড়িয়া), দুখু মিয়া (পিতা নয়ন প্রামাণিক, পূর্ব কাঠালবাড়িয়া), আজহার মৃধা (পিতা খোকা মৃধা, পূর্ব কাঠালবাড়িয়া), করম আলি মণ্ডল (পিতা দেওয়ান আলি, পশ্চিম কাঠালবাড়িয়া/পালোপাড়া), এছার উদ্দিন মণ্ডল (পিতা মেঘাই মণ্ডল, বারুইপাড়া), মো. দরবারি (পিতা মল্লিক চাদ, বারুইপাড়া), আব্দুস সাত্তার (পিতা মো. সলেমান আলি, বারুইপাড়া/কুটিপাড়া), নন্দলাল দাস (পিতা নীলকান্ত দাস, কৃষ্ণপুর), সুনা দাস (পিতা ঘানু দাস, কৃষ্ণপুর), ওসমান মোল্লা (পিতা ইউনুস মোল্লা, কান্দ্রা) এবং নাসির উদ্দিন ভূঁইয়া (পিতা লাল মহাম্মদ ভূঁইয়া, কান্দ্রা)। [মো. ইলিয়াছ উদ্দিন]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!