You dont have javascript enabled! Please enable it!

পাহাড়তলী যুদ্ধ (চট্টগ্রাম মহানগর)

পাহাড়তলী যুদ্ধ (চট্টগ্রাম মহানগর) সংঘটিত হয় ১৩ই এপ্রিল। ২৬শে মার্চ থেকে ১১ই এপ্রিল পর্যন্ত চট্টগ্রামের কালুরঘাট ব্রিজ এলাকায় অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধারা দুই দলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। এক দল বান্দরবন ঘুরে চন্দ্রঘোনা হয়ে কাপ্তাই পৌঁছায়, অপর দল ১৩ই এপ্রিল বিকেলে একটি জিপে করে পাহাড়তলীর চৌমুহনী পৌঁছায়। এ-দলে ছিলেন ৮ জন মুক্তিযোদ্ধা। এ-সময় রাউজানে গণহত্যা চালিয়ে পাকবাহিনী শহরে ফিরছিল। তখন তাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের এই অংশের এক সম্মুখ যুদ্ধ হয়৷ যুদ্ধে ৭ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। তাঁদের মধ্যে ৫ জনের পরিচয় জানা গেছে। তাঁরা হলেন- ছাত্রনেতা সাইফুদ্দিন খালেদ চৌধুরী (পিতা জহুর আহমদ চৌধুরী; স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী), আবদুর রউফ (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ – সম্পাদক), গোলাম নবী (ছাত্রকর্মী), অধ্যাপক দিলীপ চৌধুরী (কানুনগোপাড়া কলেজ) ও মোহাম্মদ ইউনুস (বোয়ালখালী থানা আওয়ামী লীগ-এর কর্মী)। পাহাড়তলীতেই এঁদের সমাহিত করা হয়। ২০১২ সালের ১৪ই এপ্রিল সাইফুদ্দিন খালেদের দেহাবশেষ তুলে এনে দামপাড়ায় পিতার কবরের পাশে শহীদের পূর্ণ মর্যাদায় পুনরায় দাফন করা হয়। এ যুদ্ধে একজন মুক্তিযোদ্ধা বেঁচে যান, তিনি হচ্ছেন ছাত্রনেতা সুলতানুল কবির চৌধুরী (স্বাধীনতা পরবর্তীকালে তিনি বাশখালী থেকে এমপি নির্বাচিত হন)। মুক্তিযোদ্ধাদের গুলিতে দুজন পাকসেনা আহত হয়। [আহমেদ আমিন চৌধুরী]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৫ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!