পাকুড়িয়া গণকবর (মান্দা, নওগাঁ)
পাকুড়িয়া গণকবর (মান্দা, নওগাঁ) রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের মাঝামাঝি মান্দা উপজেলার অন্তর্গত দেলুয়া বাড়ি থেকে ২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। এখানে ১২৮ জন সাধারণ মানুষকে কবর দেয়া হয়।
২৮শে আগস্ট ভোরবেলা পাকবাহিনী অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় পাকুড়িয়া গ্রামের চারদিক ঘেরাও করে এবং লুটপাটসহ বাড়িঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এছাড়া তারা অসংখ্য নারীর সম্ভ্রমহানি করে। এরপর তারা ১৪৫ জন গ্রামবাসীকে স্থানীয় ইউনাইটেড হাইস্কুল মাঠে এনে লাইন করে দাঁড় করিয়ে মেশিনগান ও স্টেনগান দিয়ে গুলি করে। এতে ১২৮ জন সাধারণ মানুষ শহীদ হন। ভাগ্যক্রমে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ১৭ জন বেঁচে যান। শহীদ ১২৮ জনের মধ্যে ৩৫ জনের নাম- পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন- মো. ইমাজ উদ্দিন (পিতা বাছের প্রামাণিক, গৌরাঙ্গপুর), মো. শাহাব উদ্দিন (পিতা সাহাদত আলী, পাকুড়িয়া), মো. সাখাওয়াত হোসেন (পিতা সাইফুদ্দিন সরকার, কিশোরপুর), মো. আবুল কালাম আজাদ (পিতা আতাউর রহমান, আলাইপুর), মো. কলিম উদ্দিন (পিতা আফেল উদ্দিন, পাকুড়িয়া), মো. জয়নাল আবেদীন (পিতা তাজ মোহাম্মদ, কিশোরপুর), সজিব উদ্দিন (পিতা রহিম উদ্দিন, গৌরাঙ্গপুর), এছহাক আলী (পিতা সৈয়দ আলী, পাকুড়িয়া), আবদুল কুদ্দুস (পিতা রফিজ উদ্দিন, কিশোরপুর), মো. আ. কাদের (পিতা মোবারক হোসেন, পাকুড়িয়া), মো. তফিকুল ইসলাম (পিতা আজিম উদ্দিন, পাকুড়িয়া), আহম্মদ আলী (পিতা আজিম মণ্ডল, কলিগ্রাম), লাল মোহাম্মদ (পিতা নূর মহম্মদ মোল্লা, কিশোরপুর), আনিছুর রহমান (পিতা আ. আজিজ, কিশোরপুর), মো. আলী আশরাফ (পিতা এরশাদ আলী, গৌরাঙ্গপুর), মো. আজিজুল আলম (পিতা ছমির উদ্দিন, কলিগ্রাম), মো. গাজিবর রহমান (পিতা জাফর মণ্ডল, আলাইপুর), মো. ইয়ার উদ্দিন (পিতা ফকির উদ্দিন, গৌরাঙ্গপুর), মো. আকবর হোসেন (পিতা মসলেম উদ্দিন, পাকুড়িয়া), মো. সোলায়মান হোসেন (পিতা মন্তাজ মিস্ত্রী, পাকুড়িয়া), মো. হামিদ সরকার (পিতা নজির উদ্দিন, দেবত্তর), মো. আজের আলী সরকার (পিতা অজের উদ্দিন, গৌরাঙ্গপুর), ইনছান আলী (পিতা বায়েন উদ্দিন, কলিগ্রাম), লাল মোহাম্মদ (পিতা কেরামত আলী, আলাইপুর), মো. মাজদার রহমান (পিতা হায়েত আলী, কলিগ্রাম), মো. শাহ্জাহান আলী (পিতা আয়েজ উদ্দিন, কলিগ্রাম), হাফিজুর রহমান (পিতা লুৎফর রহমান, কিশোরপুর), জামাল উদ্দিন (পিতা আলেক সরদার, কিশোরপুর), আক্কাস আলী (পিতা জেহের প্রামাণিক, কিশোরপুর), নজরুল ইসলাম (পিতা নুরুল হুদা, কিশোরপুর), এ কে এম আক্তার হোসেন (পিতা ঠান্ডু মোল্লা, দিয়াড়কাদিরপুর), আ. লতিফ (পিতা লাল মোহাম্মদ সরকার, কেশবপুর), মো. ইনছাদ আলী (পিতা হোসেন আলী, কিশোরপুর), করিম মণ্ডল (পিতা তাছেন মণ্ডল, কিশোরপুর) এবং মো. ইমাজ উদ্দিন (পিতা মতিউর রহমান, কিশোরপুর)। [আখতারুজ্জাহান]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৫ম খণ্ড