মুক্তিযুদ্ধে পাংশা উপজেলা (রাজবাড়ী)
পাংশা উপজেলা (রাজবাড়ী) মুক্তিযুদ্ধের সময় ছিল রাজবাড়ী জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় উপজেলা। এর উত্তরে পদ্মা নদী এবং পদ্মার ওপারে পাবনার সুজানগর উপজেলা। দক্ষিণে গড়াই নদী আর বালিয়াকান্দি উপজেলা। পূর্বে কালুখালি উপজেলা আর পশ্চিমে কুষ্টিয়া জেলা।
১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের সময় থেকেই এ উপজেলার মানুষ আন্দোলন-সংগ্রামে খুবই সক্রিয়। এরপর ৬৬-র ছয়-দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান- এবং ৭০-এর নির্বাচনের ভেতর দিয়ে রাজনৈতিক আন্দোলন আরো ছড়িয়ে পড়ে। ৭০-এর নির্বাচনে এলাকার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করে। বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণ এর পর এ উপজেলার মানুষ চূড়ান্ত সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হতে থাকে।
পাংশা এলাকার ছাত্রনেতারা ৭০ সালের নির্বাচনের পর থেকেই এলাকার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে থাকেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণে সারাদেশের ন্যায় এখানকার মানুষ ও চূড়ান্ত সংগ্রামের দিকনির্দেশনা লাভ করে। পাংশা থানার মাছপাড়া, হাবাসপুর, কসবামাঝাইলসহ বেশ কয়েকটি স্থানে শুরু হয় এলাকার যুবকদের নিয়ে যুদ্ধের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ। এসব এলাকার প্রাক্তন ইপিআর, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর বাঙালি সদস্যরা যুবকদের যুদ্ধকৌশল শেখাতে থাকেন। এসবের সংগঠক হিসেবে কাজ করেন হাবাসপুর এলাকার মোসলেম উদ্দিন মৃধা এমপিএ, পাংশার আওয়ামী লীগের নেতা গহর উদ্দিন মণ্ডল, মাছপাড়া এলাকার আব্দুল মতিন মিয়া, ছাত্র ইউনিয়ন – নেতা অনিল ভৌমিক, ছাত্রনেতা জিল্লুল হাকিম (বর্তমানে আওয়ামী লীগের এমপি), খান মো. আব্দুল হাই, মঞ্জুর মোর্শেদ সাচ্চু, হাসান আলী বিশ্বাস প্রমুখ।
মাছপাড়া রেল স্টেশনের পাশে অবস্থিত মাছপাড়া হাইস্কুলে গড়ে ওঠে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সাহায্য কেন্দ্র। এখানে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর সদস্যরা এলাকার মানুষের কাছ থেকে চাল, ডাল, ময়দা এনে খাবার তৈরি করত। স্বেচ্ছাসেবকদের নেতৃত্ব দেন হাইস্কুলের শিক্ষক অমূল্য কুমার বর্ধন। উপজেলার দুপাশ দিয়ে নদী বয়ে যাবার কারণে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ অনেকটা সহজ হয়েছিল।
২৩শে মার্চ মাছপাড়ায় প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করা হয়। পতাকা উত্তোলন করেন ছাত্রনেতা আব্দুল মতিন মিয়া। পতাকাটি তৈরি করেছিলেন মাছপাড়া বাজারের দর্জি নিরাপদ বিশ্বাস। এদিনই দুপুরে পাংশা হামিদ আলী মাঠে (বর্তমান পৌরসভা চত্বর) ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আয়োজনে ছাত্রনেতা হাসান আলী বিশ্বাসের নেতৃত্বে পতাকা উত্তোলন করা হয়। পতাকা উত্তোলনের পর ছাত্র-জনতার এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন পাংশা থানা -ছাত্রলীগ-এর সভাপতি জিল্লুল হাকিম। সভায় উপস্থিত ছিলেন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা- কর্মীরা। তাঁদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলেন- খান মো. আব্দুল হাই, আব্দুল মতিন মিয়া, মঞ্জুর মোর্শেদ সাচ্চু, নাসিরুল হক সাবু প্রমুখ।
পাংশা থানার ছাত্রনেতা জিল্লুল হাকিম, মঞ্জুর মোর্শেদ সাচ্চু ও আব্দুল মতিন মিয়ার নেতৃত্বে এলাকার মানুষ মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য ভারতের বনগাঁয় যায়। বনগাঁয় রিক্রুট হবার পর চাকুলিয়া (বিহার) ও দেরাদুনে তারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ শেষে তাঁরা জেলার বিভিন্ন স্থানে ক্যাম্প স্থাপন করে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন।
মঞ্জুর মোর্শেদ সাচ্চু বিএলএফ-এর মহকুমা প্রধান ছিলেন। তিনি ভারতের দেরাদুন থেকে আগস্টের শেষের দিকে দেশে ফিরে আসেন। এরপর পাংশা থানার হাবাসপুর ও চরঝিকুরী এলাকায় ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা করেন। জিল্লুল হাকিম ও মতিন মিয়ার বাহিনী অনেকগুলো যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে।
আব্দুল মতিন মিয়া যুদ্ধ শুরুর আগে থেকেই তাঁর এলাকা মাছপাড়ায় যুবকদের যুদ্ধের বিভিন্ন কলাকৌশল শেখাতেন। ২৯শে মার্চ যখন কুষ্টিয়ায় যুদ্ধ শুরু হয়, তখন ১০৫ জনের একটি দল নিয়ে তিনি সে-যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। কুষ্টিয়া যুদ্ধের পর তিনি মাছপাড়া হাইস্কুল মাঠে প্রাক্তন পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর সদস্য সিরাজুল ইসলাম রাজাকে দিয়ে যুবকদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেন। এরপর মে মাসের ১৯ তারিখ ২৫ জন সঙ্গী নিয়ে মতিন মিয়া ভারতে যান। ভারতে ট্রেনিং শেষ করে আগস্টের ১৫ তারিখ ১২ জনের একটি দল নিয়ে দেশে আসেন। এরপর তিনি সরিষা ইউনিয়নের শ্যামা বিশ্বাস ও প্রেমটিয়া গ্রামের মহেন্দ্র বিশ্বাসের বাড়িতে ক্যাম্প স্থাপন করেন। এ দুটি ক্যাম্পে প্রচুর সংখ্যক যুবককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়৷
জিল্লুল হাকিম, মঞ্জুর মোর্শেদ সাচ্চু ও আব্দুল মতিন মিয়ার নেতৃত্বে পাংশার বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেন। জিলুল হাকিম মুক্তিবাহিনীর মহকুমা প্রধান ছিলেন। তাঁর ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন নাসিরুল হক সাবু (সাবেক এমপি)। জিল্লুল হাকিমের নেতৃত্বে তাঁর বাহিনী বেশ কয়েকটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে।
তৎকালে পাংশা উপজেলার মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল রেলপথ। উপজেলার পশ্চিমে কুষ্টিয়া এবং পূর্বে রাজবাড়ীর সঙ্গেও রেলপথে যোগাযোগ ছিল। পাংশা এলাকার শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার জন্য রাজবাড়ী এবং কুষ্টিয়া শহরে যাতায়াত করত। মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন খবর তাদের মাধ্যমে পাংশায় আসত। এ কারণে ২৯শে মার্চ কুষ্টিয়া শহরে মিলপাড়া ও জেলা স্কুল এলাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের যে-যুদ্ধ হয়, তাতে পাংশা এলাকা থেকে অনেক মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করেন। ৩০শে মার্চের যুদ্ধে শহীদ হন আব্দুল কুদ্দুস। তাঁর বাড়ি পাংশার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের চর চিলোকা গ্রামে।
পাংশা থানায় পাকহানাদার বাহিনী অনুপ্রবেশ করে মে মাসের দিকে। তারা এখানে দুটি ক্যাম্প করে। পাংশা থানায় ছিল তাদের প্রধান ক্যাম্প এবং পাংশা জর্জ হাইস্কুল মাঠে ছিল একটি সাব-ক্যাম্প। এটিকে বন্দিশিবির বা নির্যাতনকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হতো।
মাছপাড়া এলাকায় শান্তি কমিটির আঞ্চলিক প্রধান ছিল মোহন মিয়া। তার নেতৃত্বে মাছপাড়া স্টেশন এলাকায় শান্তি কমিটি ক্যাম্প স্থাপন করে। তার সাব-কমান্ডার ছিল চাঁদ আলী ও ইয়াকুব। এদের মূল কাজ ছিল মাছপাড়া, কলিমহর ও বনগ্রাম এলাকার হিন্দুদের বাড়িতে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও মুক্তিকামী মানুষদের ধরে আনা। এরা বিভিন্ন এলাকা থেকে যুবকদের বুঝিয়ে শান্তি কমিটিতে নিয়ে আসত। বর্ষাকালে পাংশা এলাকার অধিকাংশ অঞ্চল পানিতে ডুবে যায়। ব্যতিক্রম শুধু মাছপাড়া স্টেশন এলাকা। তাই আশপাশের রাজাকার বাহিনী এসে মোহন মিয়ার এ ক্যাম্পে যোগ দেয়। পাকহানাদার বাহিনী আর এই রাজাকার বাহিনী মিলে মাছপাড়া এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে যুবকদের ধরে এনে মাছপাড়া মথুরাপুর রেল ব্রিজের ওপর গুলি করে হত্যা করত। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় অপর একটি দল গড়ে উঠেছিল, যাদের কাজ ছিল দিনের বেলা হিন্দুদের বাড়ি পাহারা দেয়া আর রাতের বেলা সে-সব বাড়িতে ডাকাতি করা। এরা কোনো রাজাকার বা আলবদর- <আলশামস বাহিনীর সদস্য ছিল না। কিন্তু এরা মুক্তিযুদ্ধের সময় নারীধর্ষণ, ঘরবাড়ি লুট থেকে শুরু করে সব ধরনের অপকর্ম করেছে। পাংশা থানার সরিষা ইউনিয়নে রহিম, হাসু, বশির ও ভেগার নেতৃত্বে গড়ে ওঠে এ বাহিনী। এরা পাংশার বকুলতলা, নন্দীপুকুরপার, প্রেমটিয়া, সাজুরিয়াসহ বিভিন্ন গ্রামের হিন্দুবাড়ি লুটপাট করে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাংশার মতিন বাহিনীর কাছে হাসু ও রহিম ধরা পড়ে। মুক্তিযোদ্ধারা তাদের মেরে ফেলেন। পাংশা এলাকার প্রায় গ্রামে এরকম কিছু সমাজবিরোধী মানুষের সৃষ্টি হয়েছিল, যাদের দ্বারা এসব এলাকার লোকজন বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পাংশা এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে হত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের ঘটনার সঙ্গে বেশি জড়িত ছিল মাছপাড়ার মোহন সর্দার। তার নেতৃত্বেই কলিমহর, বনগ্রাম ও মাছপাড়া এলাকায় হত্যা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এপ্রিল মাসের শেষদিকে বনগ্রাম এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ তখনো ভারতে যায়নি। মোহন মিয়ার নেতৃত্বে পাকহানাদার বাহিনী বনগ্রাম এলাকায় গিয়ে পেট্রল ঢেলে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে চালায় গুলি। ঐদিন বনগ্রামে ৯ জন মানুষ নিহত হয়। এ ঘটনা বণগ্রাম গণহত্যা নামে পরিচিত। মার্চ মাসে সরিষার রহিম, হাসু ও বশিরের নেতৃত্বে কিছু সমাজবিরোধী বকুলতলা ও নন্দীপকুরপার এলাকার হিন্দু পাড়ায় ডাকাতি করতে গিয়ে চারজনকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ দুটি ঘটনার পর পাংশার মাছপাড়া, কলিমহর, বনগ্রাম, সরিষা, প্রেমটিয়া, পাট্টা ও কসবামাঝাইল এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ভারতে যেতে শুরু করে।
পাকবাহিনী পাংশা জর্জ হাইস্কুল মাঠের ক্যাম্পটি নির্যাতনকেন্দ্র ও বন্দিশিবির হিসেবে ব্যবহার করত। পাংশার বিভিন্ন এলাকা থেকে নিরপরাধ মানুষদের ধরে প্রথমে পাংশা থানায় আনা হতো। তারপর তাদের হত্যা করার জন্য নিয়ে যাওয়া হতো জর্জ স্কুল ক্যাম্পে। এখানে তাদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হতো। পরে পাংশা শ্মশানের পাশে নিয়ে হত্যা করে চন্দনা নদীতে ফেলে দেয়া হতো। এছাড়া মাছপাড়া এলাকা থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের যাদের ধরা হতো, তাদের মাছপাড়া মরুরাপুর রেল ব্রিজের নিচে নিয়ে রাজাকার মোহন মিয়ার দল হত্যা করত।
পাংশা উপজেলায় একমাত্র বধ্যভূমি রয়েছে পাংশা পৌর মহাশ্মশানের পাশে চন্দনা নদীর তীরে। হানাদার বাহিনী পাংশা শহর থেকে যুবকদের ধরে এনে এখানে গুলি করে হত্যা করত। কিন্তু এ বধ্যভূমিটি আজো সংরক্ষণ করা হয়নি।
নভেম্বরে মাসের ২০ তারিখ মুক্তিদ্ধোরা মাছপাড়া এলাকার গাঁড়াল ব্রিজটি ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেন। পরদিন ২১শে নভেম্বর ট্রেনে করে পাকবাহিনী ব্রিজ পর্যন্ত আসে। মতিন বাহিনী আগে থেকেই জানত এখানে পাকবাহিনী আসবে। তাই সকাল থেকেই যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। পাকবাহিনী মাছপাড়ার রামকোল গ্রামে বিভিন্ন বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে যখন ফিরে আসে, তখন মুক্তিবাহিনী তাদের ওপর হামলা চালায়। বেশ কয়েক ঘণ্টা যাবৎ এখানে যুদ্ধ চলে। সন্ধ্যার আগে হানাদার বাহিনী অবস্থা বেগতিক দেখে ট্রেন নিয়ে পালিয়ে যায়। এটাই ছিল পাংশা এলাকায় পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর একমাত্র সম্মুখ যুদ্ধ।
৮ই ডিসেম্বর পাংশা উপজেলা হানাদারমুক্ত হয়। এদিন পাংশা থানা ও জর্জ স্কুল মাঠে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর যে-দুটি ক্যাম্প ছিল, সেখান থেকে হানাদাররা পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাবার সময় তারা প্রচুর অস্ত্র ও গোলা-বারুদ ফেলে যায়।
উপজেলার খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা হলেন- খবিরুজ্জমান, বীর বিক্রম- (পিতা আব্দুল জব্বার মৃধা, বাহাদুরপুর, কাজীপাড়া)।
পাংশা উপজেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- শহীদ খবিরুজ্জমান, বীর বিক্রম (১২ই অক্টোবর মাদারীপুরে কুমার নদীতে টেকেরহাট ফেরিঘাট এলাকায় নৌ-কমান্ডো অপারেশনে শহীদ)। আব্দুল কুদ্দুস (কোমরপুর; ৩০শে মার্চ কুষ্টিয়ায় শহীদ), অধীর চন্দ্র বাড়ই (পিতা তুষ্ট লাল বাড়ই, বিলজোনা; ২৬শে নভেম্বর মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার কামান্না যুদ্ধে শহীদ), গৌড় চন্দ্র বিশ্বাস (পিতা কাৰ্ত্তিক চন্দ্ৰ বিশ্বাস, বিলজোনা; ২৬শে নভেম্বর মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার কামান্না যুদ্ধে শহীদ), আতাহার আলী (পিতা মেহের উদ্দিন বিশ্বাস, বিরাহিমপুর), আরশাদ আলী সর্দার (পিতা মো. কাশেম আলী সর্দার, গঙ্গানন্দদিয়া) এবং সফিকুল ইসলাম (পিতা কিয়াম উদ্দিন, নিশ্চিন্তপুর)।
পাংশা এলাকায় কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়কের কলেজ মোড়ে শহীদদের স্মরণে একটি ভাস্কর্য রয়েছে। [সুমন বিশ্বাস]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৫ম খণ্ড