You dont have javascript enabled! Please enable it! মুক্তিযুদ্ধে পলাশবাড়ী উপজেলা (গাইবান্ধা) - সংগ্রামের নোটবুক

মুক্তিযুদ্ধে পলাশবাড়ী উপজেলা (গাইবান্ধা)

পলাশবাড়ী উপজেলা (গাইবান্ধা) একটি রাজনীতি- সচেতন এলাকা। এখানের রয়েছে রাজনৈতিক আন্দোলনের গৌরবময় ইতিহাস। ১৯২১ সালের ২০শে আগস্ট ব্রিটিশবিরোধী খিলাফত-অসহযোগ আন্দোলন কালে এক বিশাল জনসভা থেকে ‘স্বাধীন পলাশবাড়ী স্টেট’-এর ঘোষণা দেয়া হয়। পাকিস্তান আমলে এখানে আখচাষীদের আন্দোলন হয়েছিল। পরবর্তী সকল আন্দোলন-সংগ্রামেও এখানকার মানুষ সক্রিয় ছিল। ৬-দফা ও ১১-দফা আন্দোলনের সময় থেকে এ এলাকার ছাত্র-জনতা আরো জোরদার আন্দোলন করতে থাকে। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান-এর সময় পলাশবাড়ী কলেজের ছাত্ররা বন্দিমুক্তি আন্দোলন গড়ে তোলে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ী নিয়ে গঠিত জাতীয় পরিষদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এডভোকেট শাহ্ আব্দুল হামিদ (বাংলাদেশ গণপরিষদের প্রথম স্পিকার) এবং প্রাদেশিক পরিষদে একই দলের আজিজুর রহমান বিএসসি (পলাশবাড়ী) নির্বাচিত হন।
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পরপরই পলাশবাড়ী উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ৮ই মার্চ সকালে থানা আওয়ামী লীগ রেডিও পাকিস্তান, ঢাকা কেন্দ্র থেকে প্রচারিত বঙ্গবন্ধুর ভাষণ মাইকযোগে জনগণকে শোনানোর ব্যবস্থা করে। ভাষণ শোনার পর পলাশবাড়ীর ওপর দিয়ে যাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যাতায়াত করতে না পারে, সেজন্য প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়। ৯ই মার্চ পলাশবাড়ী পিয়ারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় মাঠে অধ্যাপক হাসান আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাশেষে আওয়ামী লীগ নেতা তোফাজ্জল হোসেনকে আহ্বায়ক এবং ওমর ফারুক চৌধুরীকে সদস্য-সচিব করে সর্বদলীয় থানা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। পরিষদের সদস্যরা ছিলেন- মেনহাজউদ্দিন (গাটিয়া মেনাজ), মোয়াজ্জেম হোসেন, হবিবুর রহমান, আলম কাজী, ইয়াকুব ডাক্তার, নেজাম মণ্ডল, গেন্দলা বেপারী, আব্দুল ওয়ারেস, আব্দুল মান্নান প্রমুখ। প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য আজিজুর রহমান বিএসসি ছিলেন এর উপদেষ্টা। পরিষদের উদ্যোগে ১০ই মার্চ পলাশবাড়ী এফ ইউ ক্লাবে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। ছাত্র ইউনিয়ন-এর নেতৃত্বে পলাশবাড়ী কলেজ মাঠে লাঠি ট্রেনিং শুরু হয়। ঢোলভাঙ্গাতে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মোকাররমের পরিচালনায় প্রশিক্ষণ ক্যাম্প চলতে থাকে। আমলাগাছির বলরাম কর্মকার প্রশিক্ষণের জন্য কয়েক হাজার লোহার তীর বানিয়ে দেন। এগুলো চালানোর জন্য বাঁশের ধনুক বানানো হয় এবং তীর-ধনুকেরও প্রশিক্ষণ হয়।
ঢাকা-রংপুর সড়কে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর চলাচল বিঘ্নিত করার জন্য পলাশবাড়ীতে বড়বড় গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে , বেরিকেড দেয়া হয়। ১২ই মার্চ বেরিকেড সরিয়ে চা পাকবাহিনীর গাড়িবহর রংপুরের দিকে গেলে থানা সংগ্রাম পরিষদ আবার বেরিকেড দেয়। ২৭শে মার্চ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী রংপুর থেকে বগুড়ার দিকে যাওয়ার পথে আবার বেরিকেডের সম্মুখীন হলে পলাশবাড়ীর কালীবাড়ি হাটে ঢুকে নিরীহ মানুষজনদের ওপর গুলি চালায়। এতে গিরিধারী গ্রামের আবদুল মান্নান এবং দুজন বাঙালি পুলিশ , নিহত হন। ২৮শে মার্চ মেজর নিজামের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন ইপিআর সদস্য সীমান্ত এলাকা থেকে এসে হোসেনপুর, ইউনিয়নের আমবাগানে ক্যাম্প স্থাপন করে। সৈয়দপুর থেকেও ইপিআর বাহিনীর অপর একটি দল ক্যাপ্টেন আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে ফুলবাড়ি আসে। মেজর নিজাম মূলত ছিল পাকিস্তানি হানাদারদের দোসর। কিন্তু তা গোপন রেখে ফুলবাড়ি গিয়ে ক্যাপ্টেন আনোয়ারের লোকবল ও শক্তি দুর্বল করার লক্ষ্যে ঘোড়াঘাটে অবস্থানরত গ‘ডি’ কোম্পানির সৈন্যসংখ্যা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার কথা বলে কিছু সংখ্যক সৈন্য সেখানে প্রেরণের পরামর্শ দেয়। সে। অনুযায়ী ২৯শে মার্চ সুবেদার আফতাব আলী ওরফে আলতাফকে ৬০ জন সৈন্যসহ প্রেরণ করা হয়। কিন্তু দূরদর্শী ক্যাপ্টেন আনোয়ার সুবেদার আলতাফকে পলাশবাড়ীতে অবস্থানের নির্দেশ দেন। এই সেনাদলকে পেয়ে পলাশবাড়ীর ছাত্র-জনতা সাহসী হয়ে ওঠে। মেজর নিজাম পলাশবাড়ীতে মুক্তিবাহিনী গড়ে ওঠার খবর পাকিবাহিনীর কাছে পৌঁছে দেয়। তখন পাকবাহিনী যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে পলাশবাড়ীতে আসে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। ৬ ঘণ্টা ব্যাপী এ-যুদ্ধে ৪ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং হানাদার বাহিনীর ২১ জন নিহত হয়। এটি পলাশবাড়ী প্রতিরোধযুদ্ধ নামে পরিচিত।
৩০শে মার্চ মেজর নিজামের গুপ্তচরবৃত্তি ধরা পড়লে মুক্তিবাহিনীর জওয়ানরা তাকে গুলি করে হত্যা করেন। এরপর লে. রফিক (পিতা আব্দুল আজিজ, পাবনার নারিন্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক) তার স্থলাভিষিক্ত হন। মেজর নিজামের হত্যার খবর পেয়ে পাকবাহিনী বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং রংপুর ও বগুড়া থেকে অতিরিক্ত সৈন্য এনে পলাশবাড়ীতে মোতায়েন করে। ৩১শে মার্চ বাঙালি ইপিআর ও সেনাবাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে তাদের গুলি বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে হানাদার বাহিনী পলাশবাড়ী চৌরাস্তায় এসে লে. রফিককে জোরপূর্ব গাড়িতে উঠানোর চেষ্টা করলে সুবেদার আলতাফের সঙ্গী হাবিলদার মনছুর তাদের ওপর গুলি চালান। এ-সময় একজন পাকিস্তানি সৈন্য লে. রফিককে পিস্তল দিয়ে গুলি করলে তিনি শহীদ হন। এরপর সুবেদার আলতাফ তাঁর বাহিনীকে ভাগ করে পীরগঞ্জের আংরার ব্রিজ, সাদুল্যাপুরের মীরপুর ও গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালী ব্রিজসহ পলাশবাড়ী থানা সদরে অবস্থান নেন। বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে বেরিকেড সৃষ্টি করা হয়। ১৪ই এপ্রিল ভোরে পাকিস্তানি বাহিনীর শক্তিশালী একটি বহর ঢাকা থেকে এসে পলাশবাড়ীর বেরিকেড ভেঙ্গে রংপুর চলে যায়। ১৫ই এপ্রিল রাত আটটার দিকে তারা রংপুর থেকে এসে আংরার ব্রিজে পাহারারত মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর আক্রমণ করে। কিন্তু দীর্ঘ সময় যুদ্ধের পর টিকতে না পেরে হানাদাররা পিছু হটে।
১৭ই এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা, বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও ইপিআর সদস্যদের তুমুল যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে ১১ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হলে বাকিরা পিছু হটতে বাধ্য হন। এটি পলাশবাড়ী যুদ্ধ নামে পরিচিত। এরপর পাকবাহিনী পলাশবাড়ী দখল করে নেয় এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের ডাকবাংলোতে ক্যাম্প স্থাপন করে।
এপ্রিলে ঢাকায় পূর্ব পাকিস্তান শান্তি কমিটি গঠিত হওয়ার পর পলাশবাড়ী থানায়ও এর শাখা কমিটি গঠিত হয়। কমিটির চেয়ারম্যান ছিল মুসলিম লীগ নেতা সৈয়দ আব্দুল লতিফ (ভুলু মিয়া) এবং সদস্য ছিল মেনহাজউদ্দিন সরকার (মুসলিম লীগ), আবুল খায়ের (মুসলিম লীগ), আব্দুল আউয়াল মুন্সি (জামায়াতে ইসলামী), আব্দুল জলিল মুন্সি (জামায়াতে ইসলামী), ইয়াহিয়া মোল্লা (ইসলামী ছাত্র সংঘ~), সৌদি সাবু (ইসলামী ছাত্র সংঘ), আনোয়ার কেরানী (মুসলিম লীগ), আবুল হোসেন (মুসলিম লীগ), নছিম মণ্ডল (মুসলিম লীগ), ময়নুল হক (মুসলিম লীগ), আকবর আলী গাছু (উদয়সাগর কালীবাড়ি), উদয়সাগরের আয়েন আকন্দ, অবাঙালি রমজান আলী, আবু, বাবু প্রমুখ। শান্তি কমিটির উদ্যোগে রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়। উপজেলায় ১১৮ জন রাজাকারের নাম জানা যায়। এসব স্বাধীনতাবিরোধীরা এলাকায় লুটপাট, অগ্নিসংযোগ এবং পাকবাহিনীর হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণে সরাসরি সহযোগিতা করে। এছাড়া পাকবাহিনীর নিরাপদ যাতায়াতের জন্য তারা ব্রিজ, কার্লভার্ট ও বিভিন্ন স্থাপনা পাহারা দিত।
পলাশবাড়ী উপজেলায় – আলবদর বাহিনীর চারজন সদস্যের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলো— হোসেন আহমদ আমজাদ ওরফে হোসেন মৌলভি (উদয়সাগর, ১৯৬৭ সালে পলাশবাড়ী কলেজ ছাত্র সংসদের ইসলামী ছাত্র সংঘ থেকে নির্বাচিত ভিপি), একই এলাকার মাদ্রাসা ছাত্র আব্দুল কুদ্দুস আকন্দ, পবনাপুরের ইসলামী ছাত্র সংঘের নেতা ইয়াহিয়া সরকার এবং মহদিপুর ইউনিয়নের দয়ালপাড়া গ্রামের দুলাল মিয়া।
পাকবাহিনী ও তাদের দোসররা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হত্যা, নারীনির্যাতন, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের অনেক ঘটনা ঘটায়। পার্শ্ববর্তী দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার অবাঙালিরাও এখানে নির্মম অত্যাচার চালায়। ১১ই জুন পাকসেনা ও অবাঙালিরা মিলে কাশিয়াবাড়ির রামচন্দ্রপুরে একটি গণহত্যা চালায়। আগের দিন রাতে এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়। ঘটনার দিন অসংখ্য লোককে ধরে কাশিয়াবাড়ি স্কুল মাঠে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে দেড় শতাধিক লোককে এক কিলোমিটার দক্ষিণে চতরা-ঘোড়াঘাট সড়কের পশ্চিম পার্শ্বস্থ রাচন্দ্রপুর গ্রামের একটি ডোবার ধারে নিয়ে হত্যা করা হয়। অবাঙালি রমজান আলী ও হানিফ মৌলানা কয়েকজনকে বিরাট রামদা দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। বাকিদের গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনা রামচন্দ্রপুর গণহত্যা নামে পরিচিত। পলাশবাড়ী ডাকবাংলো ক্যাম্প ছিল পাকবাহিনীর প্রধান নির্যাতনকেন্দ্র ও বন্দিশিবির। এছাড়া ঘোড়াঘাটে করতোয়া নদীর ঘাটের পাশে আরেকটি নির্যাতনকেন্দ্র ছিল।
পলাশবাড়ী ডাকবাংলোয় অবস্থিত হানাদারদের ক্যাম্পটি বধ্যভূমি হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এছাড়া কিশোরগাড়ি ইউনিয়নের কাশিয়াবাড়িতেও একটি বধ্যভূমি ছিল। হানাদার ও আবাঙালিরা মিলে এখানে শতাধিক মানুষকে হত্যা করে। উপজেলার সুংলিশপুর-জাফর গ্রামে একটি গণকবর রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে দুটি বড় ধরনের যুদ্ধ হওয়ার পর এ উপজেলায় আর কোনো যুদ্ধ হয়নি। ৬ই ডিসেম্বর উপজেলা হানাদারমুক্ত হয়।
উপজেলার খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- আব্দুল লতিফ মণ্ডল, বীর উত্তম (পিতা তোরাব আলী মণ্ডল, পবনাপুর) ও আফসার আলী, বীর বিক্রম (পিতা মো. কবেদ আলী, জেলাগাড়ী দুর্গাপুর)।
পলাশবাড়ী উপজেলায় ১৩১ জন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন বলে জানা যায়। তাঁদের মধ্যে ২৬ জন শহীদ হন। তাঁরা হলেন- আব্দুল লতিফ মণ্ডল, বীর উত্তম (নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে গোয়াইনঘাট যুদ্ধে শহীদ), আফসার আলী, বীর বিক্রম (১৪ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সিলেটের এম সি কলেজ ঘাঁটি দখল যুদ্ধে শহীদ), খায়রুল খন্দকার (পিতা হাবিবর রহমান খন্দকার, বালাবামুনিয়া), আঞ্জু মণ্ডল (পিতা ইমাম উদ্দিন ওরফে নয়া মিয়া, পবনাপুর), আবুল কাশেম (পিতা আব্দুল করিম প্রধান, পারবামুনিয়া), এ কে এম গাজী রহমান (পিতা মো. আজগর আলী, বালাবামুনিয়া), আব্দুল হামিদ প্রধান (পিতা কদম আলী প্রধান, ঐ), কে এম আতিয়ার রহমান (পিতা মতিয়ার রহমান খন্দকার, ঐ), মাহতাব আলী (পিতা মনির উদ্দিন প্রধান, হরিনাবাড়ি), ফজলে হোসেন (পিতা হেদায়েত উল্লাহ, ঐ), আব্দুল কাদের (পিতা সমশের উদ্দিন, ঐ), শওকত আলী সাবু (পিতা ময়েনউদ্দিন প্রধান, শোকটা), গোলাম রব্বানী (পিতা ফরহাদ আলী সরকার, সাতারপাড়া), আব্দুল লতিফ (পিতা জালাল উদ্দিন বেপারী, ঐ), মোকছেদ আলী মণ্ডল (পিতা নাজির উদ্দিন মণ্ডল, নান্দিশহর), সুবেদার মোজাম্মেল হক মণ্ডল (পিতা সাফায়েত উল্লাহ মণ্ডল, পূর্ব নারায়ণপুর), মো. আফছার আলী (পিতা মো. কবেজ উদ্দিন, জালাগাড়ি), আব্দুস সামাদ (পিতা আহসান উদ্দিন মুন্সি, ফরকান্দাপুর), শাহজাহান আলী বাদল (পিতা আজিম মিয়া, ঝালিঙ্গি), দেলোয়ার হোসেন (পিতা সৈয়দ আশরাফ, ঐ), অজিত চন্দ্ৰ বর্মণ (পিতা গোপাল চন্দ্র বর্মণ, বড় শিমুলতলা), মুংলু রাম বর্মণ (পিতা রজনী কান্ত বর্মণ, ঐ), আব্দুল মান্নান (গিরিধারী), তাজুল ইসলাম (পিতা দেলোয়ার হোসেন, বালাবামুনিয়া), নুরুন্নবী প্রধান (পিতা আমিন প্রধান, বরকতপুর), সুবেদার নুরুল্লা (পিতা আব্দুল হক মুন্সি, আমলাগাছি), সিপাহি আব্দুল মজিদ (পিতা মানিকউল্ল্যাহ মণ্ডল, নান্দিশহর) এবং এস এম হুদা (পিতা সোবহান সরকার, দয়ারপাড়া)।
পলাশবাড়ী ডাকবাংলো বধ্যভূমিতে এস এম হুদা, এনায়েত হোসেন বাবু, এনায়েত উল্লাহ, তারেক বেপারী, মোহিনী রিষি, তরণী রিষি এবং অন্যান্য শহীদদের স্মরণে একটি স্মৃতিসৌধ, কাশিয়াবাড়ির রামচন্দ্রপুর গণহত্যার স্থলে একটি স্মৃতিস্তম্ভ এবং সুংলিশপুর-জাফর গ্রাম গণকবরে একটি স্মৃতিস্তম্ভ (১৯৯০) নির্মিত হয়েছে। [জহুরুল কাইয়ুম]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৫ম খণ্ড