পল্লানপাড়া বধ্যভূমি ও গণকবর (টেকনাফ, কক্সবাজার)
পল্লানপাড়া বধ্যভূমি ও গণকবর (টেকনাফ, কক্সবাজার) টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পেছনের নাইট্যং পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এ বধ্যভূমিতে কক্সবাজার, উখিয়া, রামু, চকরিয়াসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মুক্তিযোদ্ধাসহ অসংখ্য নারী-পুরুষকে ধরে এনে নির্মমভাবে নির্যাতন শেষে হত্যা করে গণকবর দেয়।
মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের পর ১৮ই ডিসেম্বর মিত্রবাহিনীর ক্যাপ্টেন বিজয় সিং, মুক্তিযুদ্ধকালীন টেকনাফ থানা সংগ্রাম কমিটির সদস্য-সচিব মাস্টার আবদুস শুক্কুর, থানার সার্কেল অফিসার, মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন বাঙালি প্রমুখের নেতৃত্বে পল্লানপাড়া বধ্যভূমির সন্ধান মেলে।
এ বধ্যভূমিতে তখনো স্বাধীনতার পক্ষের লোকজনের মৃতদেহ কুকুরে টানাটানি করছিল। একটি অগভীর গর্তের মধ্যে অনেকগুলো মৃতদেহ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। মৃতদেহগুলোর অনেকের হাত বাঁধা, কারো- কারো চোখ বাঁধা। এ-সময় এ বধ্যভূমিতে ২৮ জনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। চকরিয়া উপজেলার কাকারার (বর্তমান বমু-বিলছড়ি) মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদকে বিজয়ের চূড়ান্ত পর্বে এ বধ্যভূমিতে হত্যা করা হয়। ১৭ই ডিসেম্বর আব্দুল হামিদের মরদেহ তাঁর ভাই শনাক্ত করে এ বধ্যভূমি থেকে নিয়ে যান। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা কয়েকদিনের মধ্যে এ বধ্যভূমি থেকে শহীদদের মৃতদেহ তুলে পাশের গণকবরে সমাহিত করেন। [জগন্নাথ বড়ুয়া]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৫ম খণ্ড