পদ্মপাড়া গণহত্যা (আনোয়ারা, চট্টগ্রাম)
পদ্মপাড়া গণহত্যা (আনোয়ারা, চট্টগ্রাম) সংঘটিত হয় ১৭ই নভেম্বর। এতে ১১ জন নিরীহ গ্রামবাসী প্রাণ হারায়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকারআলবদর ও আলশামস বাহিনী সম্মিলিতভাবে ১৭ই নভেম্বর বারখাইন গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সার্জেন্ট মহিউল আলমের ক্যাম্পে আক্রমণ করে। অপারেশন চলাকালে তারা বারখাইন গ্রামের পদ্মপাড়া ঢুকে প্রতিটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। প্রাণের ভয়ে যশোদা আইচ, অন্নদা দত্ত, নিরঞ্জন দত্ত ও দুর্গাচরণ আইচ ধানক্ষেতে লুকিয়ে ছিলেন। পাকহানাদাররা সেখান থেকে তাদের ধরে আনে এবং লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে। এছাড়া সেদিন এ পাড়া থেকে আরো ৭ জনকে ধরে ভিন্ন-ভিন্ন স্থানে নিয়ে হত্যা করে। নিহতরা ভিন্ন এলাকার হওয়ায় তাদের সকলের নাম জানা যায়নি। একই দিন পাকবাহিনী পূর্ব বারখাইনের নতুন ফকিরহাটে ২৬ জনের মতো লোককে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের পর পাকবাহিনী চলে যাওয়ার সময় তারা হাজিরহাট সংলগ্ন জেলেপাড়ার ৫টি ঘর জ্বালিয়ে দেয়। হানাদার বাহিনীর বেপরোয়া অবস্থা দেখে বরুমচড়া গ্রামের আবদু সামাদ (বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিক) ধানক্ষেতে অবস্থান নেন। ধানক্ষেত থেকে মাথা তুলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গতিবিধি লক্ষ করার সময় তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। [জামাল উদ্দিন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৫ম খণ্ড