পদ্মাবাজার অপারেশন (রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর)
পদ্মাবাজার অপারেশন (রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর) পরিচালিত হয় ৪ঠা ডিসেম্বর। রাজাকারদের বিরুদ্ধে পরিচালিত এ অপারেশনে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে নেতৃত্ব দেন কমান্ডার নুর হোসেন। এতে ৩ জন রাজাকার নিহত হয়।
ঘটনার দিন ৩ জন রাজাকার রামগঞ্জ ওয়াপদা বেড়িবাঁধ ঘাঁটি থেকে ৩টি রাইফেল নিয়ে পালিয়ে এসে পদ্মাবাজারের দক্ষিণে গোলাবাড়ি মসজিদের পাশ দিয়ে দক্ষিণ দিকে যাচ্ছিল। এ-সময় স্থানীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ও গ্রাম্য ডাক্তার মো. নুরুল হক ফজরের নামাজের আজানের পরপর তাদের দেখতে পান। তখন তিনি রাজাকার বলে চিৎকার দিলে তৎক্ষণাৎ রাজাকাররা তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। হঠাৎ গুলির শব্দে গ্রামবাসী এগিয়ে এলে রাজাকারা জঙ্গলে আত্মগোপন করে। ভোরবেলা গ্রামবাসী দলছুট একজন রাজাকারকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ খবর রামগঞ্জ মুক্তিবাহিনীর হাইকমান্ড সিরাজ উদ্দৌলার নিকট পৌঁছলে তাঁর নির্দেশে গ্রুফ কমান্ডার নুর হোসেনের নেতৃত্বে মধ্য আঙ্গারপাড়া নতুন বাড়ি এম্বুশ স্থল থেকে ১০-১৫ জন মুক্তিযোদ্ধা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তাঁরা জঙ্গলে পালিয়ে থাকা অবশিষ্ট ২ জন রাজাকারকে গুলি করে হত্যা করেন। গ্রামবাসী নিহত রাজাকারদের ওয়াপদা রাস্তার পাশে গর্ত করে মাটিচাপা দেয়। [মো. ফখরুল ইসলাম]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৫ম খণ্ড