পদ্মার চর বধ্যভূমি ও গণকবর (রাজশাহী সদর)
পদ্মার চর বধ্যভূমি ও গণকবর (রাজশাহী সদর) রাজশাহী সদরে অবস্থিত। মুক্তিযুদ্ধের সময় এখানে অনেককে হত্যা করে গণকবর দেয়া হয়।
১৯৭১ সালের ১৩ই এপ্রিল পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকা থেকে এসে রাজশাহী শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয়। হানাদাররা শহরের বসতি, জনবহুল বাজার ও দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়। গুলি করে পাখি শিকারের মতো মানুষ হত্যা করতে থাকে। শহরবাসীরা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে ভারতের দিকে পদ্মার চর এলাকা ধরে পালাতে থাকে। পাকিস্তানি বাহিনী শহরের তিন দিক ঘিরে রেখেছিল। খোলা ছিল পদ্মার চর এলাকা। চরের বিস্তৃতি ছিল প্রায় ১ কিমি। শহরের অসংখ্য মানুষ ভারতে আশ্রয় নেয়ার জন্য পদ্মার চরে সমবেত হয়। নদীর ওপারেই ভারতের কাতলামারী ও শেখপাড়া। ১৬ই এপ্রিল ভোরে পাকিস্তানি সেনারা পদ্মার চরে সমবেত হওয়া হাজার- হাজার মানুষের ওপর অবিরাম গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতে বহু মানুষ হতাহত হয়। নিহতদের অধিকাংশের লাশ পাকিস্তানি সেনারা পদ্মা নদীতে ভাসিয়ে দেয়। বাকিগুলো চরে গণকবর দেয়া হয়। এখানে যারা শহীদ হন তাদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। কারণ তারা অধিকাংশই চাকরি বা ব্যবসাসূত্রে শহরে ভাড়া বাড়িতে বাস করতেন। অনেক বস্তিবাসীও ছিল। [মো. মাহবুবর রহমান]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৫ম খণ্ড