You dont have javascript enabled! Please enable it!

মুক্তিযুদ্ধে পবা উপজেলা (রাজশাহী)

পবা উপজেলা (রাজশাহী) রাজশাহী সদর থেকে মাত্র সাড়ে আট কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ১৯৭১ সালে রাজশাহী সদরকে কেন্দ্র করেই পবায় মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি রচিত হয়।
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ঐতিহাসিক ভাষণের পর রাজশাহী শহর মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। এর ঢেউ এসে লাগে পবা উপজেলায়ও। ৯ই মার্চ রাজশাহীতে কারফিউ জারি করা হয়, কিন্তু তা সংগ্রামী ছাত্র-জনতার মিছিলকে কিছুতেই বাধাগ্রস্ত করতে পারেনি। ২৩শে মার্চ বোলানপুরে (রাজশাহী কোর্টের সন্নিকটে পদ্মানদীর পাড়ে) ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। পাশাপাশি পাকবাহিনীর সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিহত করার লক্ষ্যে গণবাহিনীও গঠন করা হয়। এর নেতৃত্বে ছিলেন শফিকুর রহমান রাজা (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং স্কাউট লিডার)। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর অধীনে রাজশাহী জেলার পবা, মোহনপুর, তানোর ও গোদাগাড়ী অঞ্চলে মুক্তিবাহিনীর কোম্পানি কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন।
পবা উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প ছিল না। তাই এখানকার ছাত্র-যুবকরা গোদাগাড়ী উপজেলার সৈয়দপুর থেকে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। সেখানে পবার এস এম জহুরুল হক, কামরুজ্জামান, গাজলুর রহমান, আইউব হোসেন, আব্দুর রহমান প্রমুখ প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। সেখান থেকে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ নিয়ে পবার মুক্তিযোদ্ধারা উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে যান এবং তরঙ্গপুরে প্রশিক্ষণ শেষে অস্ত্রসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় পবা উপজেলায় সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন ন্যাপ-এর আব্দুল মালেক চৌধুরী (হরিপুর), আওয়ামী লীগ-এর মুজাহার আলী (মধুপুর), দেরাজ আলী (আলিমগঞ্জ), আব্দুর রহমান (হারুপুর), হাজী সমির উদ্দিন (আলাইকান্দি), হারুনুর রশিদ (জাঙ্গালপাড়া), আনসারুল হক (বহমাপোনা), আলী মোহাম্মদ (হারুপুর) ও আলতাব হোসেন (কসবা, আলিমগঞ্জ), মনিরুজ্জামান (বিলশিমলা, ছাত্রলীগ) প্রমুখ। আর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন মো. নূরুল ইসলাম (পিতা জবেদ আলী, হরিপুর), হারুনুর রশিদ খান (পিতা কোবাদ আলী খান, বেরিপাড়া, পবা; বর্তমানে রাজশাহী সদর উপজেলার বাসিন্দা), আশরাফ আলি দেওয়ান (নওহাটা), আবদুল কুদ্দুছ (নওহাটা), ও ডা. আমজাদ হোসেন (মেডিক্যাল স্টুডেন্ট)।
২৮শে মার্চ পাকবাহিনী কর্তৃক রাজশাহী পুলিশ লাইন আক্রমণের খবর পেয়ে পবার বাঙালি পুলিশ ও ছাত্র-জনতা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। ফলে ঐদিনই পাকবাহিনী পবায় প্রবেশ করে এবং মাদ্রাসার পেছনে জিন্নাহ হল ও হাটগোদাগাড়ীতে ক্যাম্প স্থাপন করে। পরবর্তীতে তারা বাগধানী, সিতলাই, দুয়ারী, নওহাটা ও মাজারদিয়ার ইপিআর ফাঁড়িতেও ক্যাম্প স্থাপন করে। তবে রাজশাহী সদর ক্যাম্প থেকেই তারা বেশির ভাগ অভিযান পরিচালনা করত। -আলবদর- ও রাজাকার বাহিনীর সম্মিলিত ক্যাম্প ছিল মাজারদিয়ার ইপিআর ফাঁড়িতে। এছাড়া আলবদররা রাজশাহী কোর্ট এলাকার অক্ট্রয় মোড়ে (বর্তমান জনতা ব্যাংক ভবনে) ও একটি ক্যাম্প স্থাপন করে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় পবাতে পাকবাহিনীর দোসর শান্তি কমিটি ও আলবদররাজাকারদের তৎপরতা ছিল। এসব বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে বাচ্চু (পিতা এডভোকেট সেতাবউদ্দিন, হড়গ্রাম; রাজশাহী জেলা ইসলামী ছাত্র সংঘ-এর সেক্রেটারি ও আলবদর সদস্য), আবুল কাশেম (বাগধানী)। স্থানীয়ভাবে তিনি ভিক্ষু মিয়া নামে পরিচিত। ভিক্ষু মিয়ার সহকর্মী ছিলেন উমর আলী
(দালাল), আবুল হোসেন (দালাল), এহিয়া সরকার (শান্তি কমিটির সদস্য), নুরু রাজাকার, সিরাজুল (বামনদিঘি), পারিলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোসলেহ উদ্দিন (রাজাকার), আলহাজ আনসার রহমান (হুজুরিপাড়া), আলহাজ রুস্তম আলি (বাজিতপুর, মুসলিম ঘোষ (রাধানগর), আকবর আলি (কুলপাড়া, ডাঙ্গেরহাট), ডা. মো. রবু (কুলপাড়া), পাক দালাল আব্দুস সাত্তার (গহমাবোনা), হুজুরিপাড়ার সানাউল্লাহ সানু, আব্দুল ওয়াহার, রহুল আমীন, মুক্তার হোসেন (দারুস সালাম আলিয়া মাদ্রাসার সুপার), বড়গাছির ওবেদ আলী, হেদায়েতুল্লাহ ও বশির উদ্দিন থানদার, নওহাটার খোকা, নাজির উদ্দিন, তোতা মিয়া, মুনতার, নঈমউদ্দিন, আয়নাল হক, বদরউদ্দিন এবং আব্দুল হাই-এর নাম উল্লেখযোগ্য।
২৮শে মার্চ পাকবাহিনী কর্তৃক রাজশাহী পুলিশ লাইন্সে হামলার পর জীবন রক্ষার জন্য হড়গ্রামের অবনীকান্ত পাল তাঁর পরিবার-পরিজন নিয়ে পবার উলাপুর গ্রামে আশ্রয় নেন। ২৯শে এপ্রিল পাকবাহিনী এ গ্রামে হামলা করলে গ্রামের অধিকাংশ মানুষ পালিয়ে যায়। কিন্তু পাকবাহিনী ১০ জনকে ধরে লিচু বাগানে নিয়ে নির্যাতন শেষে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনা উলাপুর গণহত্যা নামে পরিচিত। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে বায়াহাট মসজিদে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করে। এটি বায়াহাট মসজিদ গণহত্যা হিসেবে পরিচিত।
১৩ই নভেম্বর হরিপুর ইউনিয়নের সোনাইকান্দি গ্রামে পাকবাহিনী নির্মম গণহত্যা চালায়। এখানে ১৮ জনকে হত্যা করে ইপিআর ক্যাম্পের পাশে গণকবর দেয়। হত্যার এ ঘটনা সোনাইকান্দি গণহত্যা এবং গণকবরের স্থানটি সোনাইকান্দি ইপিআর ক্যাম্প গণকবর নামে পরিচিত।
সিতলাই মরমংলা গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেয়ার অভিযোগে কর্মকার আসারুল ও তাঁর পিতাকে পাকবাহিনী হত্যা করে। একই কারণে পাকবাহিনী ও তাদের সহযোগী আলবদররাজাকারদের হাতে খোলাবোনা গ্রামের আসাদুজ্জামান, শাহজাহান, মুনসুর রহমান, এমাজউদ্দিনসহ ১৪ জন সাধারণ মানুষ গণহত্যার শিকার হন। ১৩ই নভেম্বর সংঘটিত খোলাবোনা গণহত্যায় শহীদদের সেখানেই কবর দেয়া হয়। বেড়াপাড়াতেও তারা অসংখ্য নিরীহ মানুষকে হত্যা করে। ২রা ডিসেম্বর ডাঙ্গেরহাট গণহত্যা—য় ৫ জন গ্রামবাসী শহীদ হন।
২৮শে মার্চ ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে ইপিআর মুক্তিযোদ্ধারা নওগাঁ থেকে নওহাটা-সংলগ্ন মধুসুন্দরপুর গ্রামে অবস্থান নিলে পাকবাহিনী নওহাটা, ঘোড়াদহ ও ধানহাটাতে বিমান থেকে বোমাবর্ষণ করে অনেক লোককে হতাহত করে। এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে পাকবাহিনী রাজশাহী থেকে নওহাটা পর্যন্ত গ্রামগুলোতে ব্যাপক লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে।
পারিলা গ্রামের এডভোকেট আবদুল্লাহ হেল বাকী ও তাঁর এক ভাই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তাঁদের বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র রাখার অভিযোগে পাকবাহিনী ও তাদের দোসররা এডভোকেট বাকীর পরিবারের সদস্যদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালায়। রাজাকাররা তাঁর বৃদ্ধা মাকে কয়েকবার ক্যাম্পে ধরে নিয়ে মারধর করে, তাঁদের ঘরবাড়ি ভাংচুর করে, অস্ত্র খোঁজার নামে ঘরের মেঝে খুঁড়ে ওলট-পালট করে, এমনকি এডভোকেট বাকীর পিতার বাঁধানো কবরটিও খুঁড়ে লণ্ডভণ্ড করে দেয়।
২০শে এপ্রিল পাকবাহিনী নওহাটার মুন্সী আজগর আলী ও আলাউদ্দিন এবং পুঠিয়াপাড়ার খলিলকে হত্যা করে। ২৬শে মে নওগাঁ যাওয়ার পথে তারা নওহাটা বাজারের অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে লুটপাট চালায় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী একদিন এক পাকিস্তানি সেনাকে ধরে পিটিয়ে আহত করে।
এ ঘটনার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য পরবর্তীতে পাকসেনারা নওহাটা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন চালায়। অনেক নারীকে হানাদার ক্যাম্পে ধরে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন করে। বিলধরমপুর, হাটগোদাগাড়ী ও হরিপুরে অধিকাংশ ঘরবাড়িতে লুটপাট, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
পবা উপজেলার কসবা গ্রামের নদীর পাড় বধ্যভূমি, সোনাইকান্দি ইপিআর ক্যাম্প গণকবর (দেখুন সোনাইকান্দি গণহত্যা), খোলাবোনা গণকবর (দেখুন খোলাবোনা গণহত্যা) ও নবগঙ্গা ভাঙ্গাপুলের মাথা বধ্যভূমি এ এলাকায় সুপরিচিত।
মে মাসের প্রথমদিকে কমান্ডার হারুনুর রশিদ খানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি গ্রুপ ডিনামাইট দিয়ে রাজশাহী- নবাবগঞ্জ রেলপথে কুমড়াপুকুর রেলওয়ে ব্রিজটির একাংশ উড়িয়ে দেন। এর ফলে ঐ রুটে পাকবাহিনীর রেল যোগাযোগ বিঘ্নিত হয়। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে ইপিআর মুক্তিযোদ্ধা হাবিলদার হানিফের নেতৃত্বে কসবা ইক্ষুকেন্দ্রের পাশে পাকবাহিনীর একটি পেট্রল গাড়িতে হামলা করলে গাড়িতে থাকা সকল পাকসেনা নিহত এবং গাড়িটি ধ্বংস হয়। জুলাই মাসে গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাটের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেকের নেতৃত্বে আব্দুল কাদের, নজরুল ইসলাম ও ইয়াসিন মোল্লা নির্মাণাধীন নওহাটা বিমানবন্দরে পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পে অপারেশন চালান। তাঁরা সেনাক্যাম্পের ওপর পরপর কয়েকটি গ্রেনেড নিক্ষেপ করেন। এতে ১০-১২ জন পাকসেনা হতাহত হয়। অক্টোবর মাসে দুয়ারী ও বাগধানীতে কমান্ডার হারুনুর রশিদ খানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে এক সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। যুদ্ধে ১৩ জন হানাদার সৈন্য নিহত হয়। অপারেশন শেষে ফেরার পথে পাকবাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণ করলে তাঁরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। এ-সময় পাকবাহিনীর হাতে ৬ জন মুক্তিযোদ্ধা ধরা পড়েন এবং তাঁদেরকে তানোর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে তানোর থানা আক্রমণ করে মুক্তিযোদ্ধারা ৬ জন সহযোদ্ধাসহ বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষকে উদ্ধার করেন।
পবা উপজেলার দুয়ারী ব্রিজ ব্যবহার করে পাকবাহিনী তানোর ও গোদাগাড়ীসহ রাজশাহী জেলার পশ্চিমাংশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করত। রাজাকাররা সবসময় ব্রিজটি পাহারা দিত। ১৭ই নভেম্বর কমান্ডার হারুনুর রশিদ খানের নেতৃত্বে প্রায় তিনশ মুক্তিযোদ্ধা দুয়ারী ব্রিজ অপারেশন পরিচালনা করেন। এ-সময় ব্রিজ পাহারায় নিয়োজিত রাজাকাররা মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট আত্মসমর্পণ করে এবং মুক্তিযোদ্ধারা ব্রিজের নিচে শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ব্রিজটির আংশবিশেষ উড়িয়ে দেন।
পাকসেনাদের চলাচল বিঘ্নিত করার জন্য কমান্ডার হারুনুর রশিদ খানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা সিতলাই রেলওয়ে ব্রিজ অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন এবং ৮ই অক্টোবর তাঁরা ব্রিজের নিচে বিস্ফোরক স্থাপন করেন। কিন্তু পাকসেনাদের বহনকারী একটি ট্রেন সেখানে আসার পূর্বেই তা বিস্ফোরিত হলে রেললাইন উড়ে যায়। পাকবাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর মেশিনগানের গোলাবর্ষণ শুরু করে। মুক্তিযোদ্ধারাও পাল্টা জবাব দেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টিকতে না পেরে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটেন। সিতলাই ব্রিজ অপারেশন কৌশলগত কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
গাজলুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের কয়েকটি গ্রুপ পবার ডাঙ্গেরহাট এলাকায় অবস্থান নেয়। ২রা ডিসেম্বর পাকবাহিনী একটি জিপ, দুটি ট্রাক ও একটি বাসযোগে ডাঙ্গেরহাট সংলগ্ন গ্রামগুলোতে অভিযানে আসে। এদিকে মুক্তিযোদ্ধারা রাস্তার দুপাশে এন্টিট্যাঙ্ক মাইন পুঁতে রাখেন।
লুটপাট শেষে ফেরার পথে মাইন বিস্ফোরণে হানাদার বাহিনীর জিপটি ধ্বংস হয়ে যায় এবং জিপের আরোহী সকলে নিহত হয়। এটি ডাঙ্গেরহাট জিপ অপারেশন নামে পরিচিত। ১৬ই ডিসেম্বর পবা উপজেলা হানাদারমুক্ত হয়। পবা উপজেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আরশাদ আলী (পিতা আমির উদ্দিন, ঝুজকাই) ও নূর বক্স (পিতা আয়েন উদ্দিন, তরকপারিলা)-এর নাম জানা যায়।
মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে পবা উপজেলার নওহাটা কলেজ প্রাঙ্গণ ও উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে দুটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। [হোসনে আরা খানম]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৫ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!