পতিহার গণহত্যা (আগৈলঝাড়া, বরিশাল)
পতিহার গণহত্যা (আগৈলঝাড়া, বরিশাল) সংঘটিত হয় ১৬ই মে। এতে বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ প্রাণ হারায়।
আগৈলঝাড়া উপজেলার বিলাঞ্চলের গ্রাম পতিহার। ১৬ই মে সোমবার সকালে পাকসেনাদের একটি দল গৌরনদী ক্যাম্প থেকে বিল্বগ্রাম হয়ে আবদুর রব সেরনিয়াবাত-এর বাড়ি যাওয়ার পথে পতিহার গ্রামে গণহত্যা, নির্যাতন, লুণ্ঠন এবং অগ্নিসংযোগ করে। পতিহার গ্রামের রাজাকার গোমস্তাপাড়ার শাহ আলী এবং তফিজউদ্দিন মৃধার দেখনো পথে তারা মজুমদার বাড়ি, শীল বাড়ি ও চিত্ত ডাক্তারের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে এবং যাকে যেখানে পেয়েছে সেখানেই তাকে হত্যা করেছে। পতিহার গ্রামের সরকার বাড়ির মন্টু রঞ্জন সরকার জানান, রাংতা, রাজিহার ও চাঁদশীতে পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণের খবর পেয়ে ১৫ই মে রাতে পতিহার সরকার বাড়িতে মিটিং করে হিন্দুপাড়ার সকল মহিলা ও শিশুদের নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। যারা বাড়ি ত্যাগ করেননি তারাই গণহত্যার শিকার হন। পতিহার গ্রাম গণহত্যায় শহীদ ১০ জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন— বাশীরাম হালদার (৫০) (পিতা শ্রীনাথ হালদার), লক্ষ্মীকান্ত হালদার (৪৫) (পিতা কালীচরণ সরকার), রজনী ভদ্র (৬০) (পিতা অনন্ত ভদ্র), নিতাই দত্ত (২৫) (পিতা নকুল দত্ত), নীলা সোম (২৫) (স্বামী যাদব সোম), নারায়ণ পাল (৫০) (পিতা গোসাই পাল), চন্দ্ৰকান্ত শীল (৫৫) (পিতা সঞ্চিত শীল), কেস্ট শীল (৪০) (পিতা কাশিনাথ শীল), অনিল কর (৩৫) (বিল্বগ্রাম, এলাকার আত্মীয়) ও প্রফুল্ল শীল (পিতা চিত্তরঞ্জন শীল)। [মনিরুজ্জামান শাহীন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৫ম খণ্ড