নোয়াপাড়া ইমাম গাজ্জালী কলেজ যুদ্ধ (রাউজান, চট্টগ্রাম)
নোয়াপাড়া ইমাম গাজ্জালী কলেজ যুদ্ধ (রাউজান, চট্টগ্রাম) সংঘটিত হয় ১৩ই এপ্রিল। এতে ৮ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ও ২ জন গুরুতর আহত হন। অপরদিকে কয়েকজন পাকিস্তানি সেনাও হতাহত হয়।
মুক্তিযুদ্ধের শুরুর দিকে রাউজানের খিরাম, শান্তিরহাট, তোকিরহাট, নোয়াজিশপুর, ডাবুয়া ও আবুরখীলে বেশ কয়েকটি মুক্তিসেনা সংগ্রহ ও সহায়ক কমিটি গঠিত হয়। এ- সময় শেখপাড়ার আমজাদ আলীর পুত্র নৌবাহিনীর কর্পোরাল আব্দুল করিমের নেতৃত্বে পুলিশ, ইপিআর ও আনসার বাহিনীর ২০-২৫ জন সদস্যকে নিয়ে গঠন করা হয় আব্দুল করিম (পরবর্তীতে অনানারি ক্যাপেন্ট) বাহিনী। এ বাহিনী মুক্তিযুদ্ধে রাউজানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পরবর্তীতে এ খবর শান্তি কমিটি-র মাধ্যমে পাকবাহিনীর কাছে পৌঁছে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পাকবাহিনী ১৩ই এপ্রিল চট্টগ্রাম শহর থেকে সত্তারঘাট ও নোয়াপাড়ার মদুনাঘাট হয়ে রাউজানে আসে এবং রাউজান কলেজ, নোয়াপাড়া ইমাম গাজ্জালী কলেজ ও মদুনাঘাট পাওয়ার স্টেশনে ক্যাম্প স্থাপন করে। সেখান থেকে গ্রুপ-গ্রুপ করে এসে মুসলিম লীগ, শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় পাকসেনারা আক্রমণ চালিয়ে সংখ্যালঘু হিন্দু ও স্বাধীনতার পক্ষের লোকদের হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ ও লুটপাট করত। সংখ্যালঘু হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায় অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে এমন কোনো বাড়ি ছিল না যেখানে অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠন করা হয়নি। রাউজানে শুধুমাত্র ১৩ই এপ্রিল পাকসেনারা ১৩টি স্থানে ১৬৯ জন মানুষকে হত্যা করে। একই সঙ্গে পাকসেনা ও রাজাকারদের দ্বারা অসংখ্য নারী নির্যাতনের শিকার হন। পাকসেনা ও রাজাকার ক্যাম্পে বন্দি রেখে অনেক নারীকে নির্যাতন ও ধর্ষণ করা হয়। রাউজানে মুসলিম লীগের আধিপত্য ও শান্তি কমিটি সক্রিয় থাকায় মুক্তিযোদ্ধারা সহজে চলাফেরা করতে পারতেন না। গোপনে ও দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় আশ্রয় গ্রহণ করে তাঁরা বিভিন্ন অপারেশন ও যুদ্ধ পরিচালনা করতেন।
২৭শে জুলাই ট্রেনিংপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা এম এ মান্নান, ছাত্রলীগ নেতা ডা. মাহফুজ ও সাতকানিয়ার আওয়ামী লীগ নেতা স্বপন চৌধুরীর উপস্থিতিতে ১০ জনের এক-একটি দলে বিভক্ত করে কোনো-কোনো থানার জন্য দু-তিনটি দল প্রেরণ করা হয়। প্রতিটি দলকে একটি করে এলএমজি, তিনটি এসএমজি, তিনটি এসএলআর, পাঁচটি গ্রেনেড ও বিস্ফোরক দ্রব্যাদিসহ নগদ ১৫০ টাকা প্রদান করা হয়।
রাউজানে বিএলএফ মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন- কমান্ডার নাজিম উদ্দিন খান (গহিরা), ডেপুটি কমান্ডার শওকত হাফিজ খান (রুশনী), সহকারী কমান্ডার তোফায়েল আহমেদ (ছিটিয়াপাড়া, সুলতানপুর), ছালামত উল্লাহ (মোহাম্মদপুর), ছলিমুল্লাহ (মোহাম্মদপুর), মুসা খান (মোহাম্মদপুর), মোজাফ্ফর আহমেদ (মোহাম্মদপুর), মাহবুবুল আলম চৌধুরী (আলিখীল), খন্দকার মোহাম্মদ হাসান (কালাচান হাট, গহিরা), মঞ্জুর মোরশেদ চৌধুরী (গহিরা), শাহেদ জালাল চৌধুরী (গহিরা), এল এম জি হাশেম (দলিলাবাদ), ফেরদৌস হাফিজ খান রুমি প্রমুখ। দক্ষিণ রাউজান দলে এফএফ মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন— কমান্ডার কেদার নাথ, চিত্তরঞ্জন বিশ্বাস, মনোরঞ্জন বিশ্বাস, দুদুল বড়ুয়া, হারুনুর রশীদ, ইয়ার মোহাম্মদ, মৃদুল বড়ুয়া, দুলাল বড়ুয়া প্রমুখ। রাউজান নোয়াপাড়া দলে এফএফ মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন- কমান্ডার মোহাম্মদ শফি, জামাল উদ্দিন (বিনাজুরী), জামাল উদ্দিন (উরকিরচর), আশুতোষ বড়ুয়া, স্বপন বড়ুয়া, নাসির উদ্দিন, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া প্রমুখ। মুক্তিযুদ্ধকালে রাউজান থানা কমান্ডার ছিলেন মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন চৌধুরী। রাউজান, ফটিকছড়ি, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী এ চার থানার অপারেশন কমান্ডার ছিলেন এফএফ দলের আবু মোহাম্মদ হাশেম। মুক্তিযোদ্ধারা তাঁর নির্দেশে বিভিন্ন অপারেশন পরিচালনা করতেন।
মুক্তিযুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে যেসব যুদ্ধ সংঘটিত হয়, তার মধ্যে রাউজানের নোয়াপাড়া ইমাম গাজ্জালী কলেজ যুদ্ধ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এ-যুদ্ধের নায়করা ছিলেন স্যার আশুতোষ কলেজের গণিতের অধ্যাপক দিলীপ কুমার চৌধুরী, চাকসুর প্রথম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রব, বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা জহুর আহমদ চৌধুরীর পুত্র ছাত্রনেতা সাইফুদ্দিন খালেদ চৌধুরী, বোয়ালখালী থানা আওয়ামী লীগের সম্পাদক শেখ মোজাফ্ফর আহমদ, বাঁশখালীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুলতান উল কবির চৌধুরী, ফিরোজ আহমদ, মোহাম্মদ ইদ্রিস, ড্রাইভার ইউনুস ও নুরুল ইসলাম। ৩০শে মার্চ দুপুর বেলা পাকবাহিনীর বিমান কালুরঘাট রেডিও স্টেশনে বোমা হামলা করে। ঐদিন বিকেলে অধ্যাপক দিলীপ চৌধুরী, মোজাফ্ফর আহম্মদ ও আবদুর রব বকশির হাটের বন্দুকের দোকান থেকে সংগৃহীত ৩০৩ রাইফেল ও অন্যান্য অস্ত্রসহ একটি জিপ নিয়ে রেডিও স্টেশনে আসেন।
৪ঠা এপ্রিল ফিরোজ আহমদ, সাইফুদ্দিন খালেদ চৌধুরী প্রমুখ পটিয়া রাহাত আলী স্কুলের অস্থায়ী ক্যাম্পে অধ্যাপক দিলীপ চৌধুরীদের সঙ্গে মিলিত হন। তাঁরা মূলত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সমন্বয় সাধন, ট্রেনিং সম্পাদন ও খাদ্য সংগ্রহ করার কাজ করছিলেন। ৯ই এপ্রিল পটিয়ায় পাকিস্তানি সৈন্যরা বোমা ফেলে। ঐদিন মুক্তিযোদ্ধারা জিপসহ সাতকানিয়া রাস্তার মাথায় অবস্থান করছিলেন। অধ্যাপক দিলীপ চৌধুরীর বাড়ি সাতকানিয়ার উত্তর ঢেমশায়। তিনি ঐ রাতে তাঁর মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যান। এরপর তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন যে, ৯ই এপ্রিল থেকে তাঁরা ব্যাচ করে ভারতে যাবেন এবং প্রাথমিকভাবে সবাই বান্দরবানে গিয়ে উঠবেন।
১১ই এপ্রিল খবর আসে যে, পাকিস্তানি সৈন্যরা দক্ষিণ চট্টগ্রামের দিকে রওনা দিচ্ছে। পটিয়ায় তখন অধ্যাপক দিলীপ, ফিরোজ, সুলতান, সাইফুদ্দিন, রব, মোজাফফর প্রমুখের শেষ ব্যাচটি অবস্থান করছিল। ঐদিন মধ্যরাতে শুরু হয় তাঁদের বান্দরবানের উদ্দেশে যাত্রা। দিলীপ, সাইফুদ্দিন, মোজাফফর, ইউনুস ওঠেন জিপে, অন্যরা ইপিআর-সহ আর্মি ট্রাকে। ১১ই এপ্রিল সবাই বান্দরবানে মিলিত হন এবং সকালে তাঁরা বান্দরবান ফরেস্ট অফিসে পৌঁছান। সে-সময় বান্দরবানে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও ইপিআর-সহ বেশকিছু মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। সেনা নেতৃত্বে ছিলেন ক্যাপ্টেন মাহফুজ, লে. হারুন, আর্টিলারির খালেদ প্রমুখ। বান্দরবান থেকে আবার শুরু হয় যাত্রা। উদ্দেশ্য, বান্দরবান থেকে পাহাড়ি পথে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের পদুয়া হয়ে চন্দ্রঘোনা উপস্থিত হওয়া। দুর্গম পথে জিপ এগুতে থাকে। কখনো তা ছড়ার পানিতে, কখনো বা বালিতে আটকে যায়। ফেরির কাছে এসে কিছুক্ষণ যাত্রাবিরতি করে।
১৩ই এপ্রিল সকাল ৬টায় অনেক কষ্টে সবাই পদুয়া হয়ে দোভাষী বাজারে উপস্থিত হন। চন্দ্রঘোনা বাজারের স্থানীয় সমাজকর্মী হাফেজ আহমদ সবার জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেন। সিদ্ধান্ত হয়, একটি জিপ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হয়ে পাহাড়তলী যাবে। উদ্দেশ্য, পাহাড়তলী বাজারের উত্তরে যে-রাস্তা রাঙ্গামাটি রোডের সঙ্গে মিশেছে, সে-রাস্তা দিয়ে জিপ নিয়ে সোজা রামগড় উপস্থিত হওয়া। এরপর ভারত। রাস্তা সম্পর্কে যেহেতু কারো স্বচ্ছ ধারণা ছিল না, সেহেতু প্রথমে একটি ট্রুপ জিপ নিয়ে রাস্তা সম্পর্কে রেকি করে আসবে। আর বাকি জিপগুলো চন্দ্রঘোনায় সেনা তত্ত্বাবধানে থাকবে। সকাল ৯টায় জিপ রওনা দেয় পাহাড়তলী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের উদ্দেশে। জিপের সামনের সিটে বসেন অধ্যাপক দিলীপ, মোজাফ্ফর ও ড্রাইভার ইউনুস এবং পেছনে ছিলেন সুলতান, ফিরোজ, রব, সাইফুদ্দিন, নুরুল ইসলাম ও ইদ্রিস।
জিপে ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার বার্তার কপি, বিভিন্ন প্রচারপত্র, ওয়ারলেস এবং বেতারের কিছু যন্ত্রপাতি। জিপের সামনে ছিল স্বাধীন বাংলার পতাকা আর অস্ত্রের মধ্যে ছিল একটি সাব-মেশিনগান, কয়েকটি রাইফেল ও বেশকিছু গ্রেনেড। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কিছু আগে মাজারের পাশে জিপ মোড় নেয়। অন্য পাশে ইমাম গাজ্জালী কলেজ। মোড় ফেলে কয়েক গজ সামনে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। রাস্তা-ঘাট নির্জন। কিছুদূর এগুতেই দেখা যায় একজন লোক হেঁটে আসছে। ড্রাইভার ইউনুস তাকে জিজ্ঞেস করেন রাস্তা পরিষ্কার আছে কি-না। ঐ লোক হ্যাঁ বলাতে ড্রাইভার ইউনুস অতি দ্রুত গাড়ি নিয়ে এগুতে থাকেন। ইমাম গাজ্জালী কলেজ পার হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গেই তাঁরা বিপদের সম্মুখীন হন। রাউজানের বিভিন্ন গ্রামে গণহত্যা চালিয়ে আসা শতশত পাকিস্তানি সৈন্য তাঁদের চারদিকে। ইউনুস সজোরে জিপের ব্রেক কশেন। শুরু হয় বৃষ্টির মতো গুলি। প্রথমটি এসে লাগে গাড়ির চাকায়। জিপ অচল হয়ে পড়ে। এরপর চলে উভয় পক্ষে গুলি বিনিময়। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ওপর থেকে শত্রুরা ব্রাশ ফায়ার শুরু করে। পাকসেনারা এগিয়ে আসছে অথচ মুক্তিযোদ্ধাদের গোলা-বারুদ প্রায় নিঃশেষিত। তখনো গুলি বিনিময় চলছিল। পাকসেনাদের গুলিতে শহীদ হন সাইফুদ্দীন খালেদ চৌধুরী ও আবদুর রব। জায়গাটি পার্বত্য জংলা এলাকা। এ-সময় জঙ্গলে আত্মগোপন করে ছিলেন বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও ইপিআর-এ কিছু সদস্য। তাঁরাও পাকিস্তানি ফোর্সের ওপর গুলি ছোড়েন। এক পর্যায়ে পাকিস্তানি সেনারা জিপ ঘেরাও করে অধ্যাপক দিলীপ, শেখ মোজাফ্ফর, ইউনুস ও ফিরোজ আহমদকে ধরে ফেলে এবং পিছমোড়া করে বেঁধে মাটিতে ফেলে রাখে। সুলতান উল কবির চৌধুরী ও ইদ্রিস ক্রলিং করে আহত অবস্থায় পাহাড়ে পালিয়ে যেতে সমর্থ হন (পরে অবশ্য তাঁরা ভারতে গিয়ে উন্নত প্রশিক্ষণ নিয়ে পুনরায় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন)। অধ্যাপক দিলীপ চৌধুরী বীরত্বের পুরস্কার হিসেবে পাওয়া সিক্স বোরের রিভলবার নিয়ে পাহাড়ে পালিয়ে যান ইদ্রিস। তাঁর পায়েও গুলি লেগেছিল। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ধৃত মুক্তিযোদ্ধাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাঁদের পকেটে যা ছিল সব নিয়ে নেয়। তারপর শুরু হয় ব্রাশ ফায়ার। এ-সময় শরীরের পাঁচ জায়গায় গুলি লেগেও বেঁচে যান ফিরোজ। এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে কয়েকজন পাকিস্তানি সৈন্যও হতাহত হয়। এ-যুদ্ধের পর রাউজান এলাকা পাকসেনাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।
পাকসেনাদের ব্রাশ ফায়ারে শহীদ হন চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা জহুর আহমদ চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র ছাত্রনেতা সাইফুদ্দিন খালেদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রব, ছাত্রলীগ কর্মী গোলাম নবী, কানুনগোপাড়া স্যার আশুতোষ কলেজের শিক্ষক দিলীপ কান্তি চৌধুরী, বোয়ালখালী থানার আওয়ামী লীগ কর্মী শেখ মুজাফ্ফর আহমদ, বোয়ালখালীর মোহাম্মদ ইউনুস। ঘটনাস্থলে শহীদ অন্য দুজনের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। শহীদদের পাহাড়তলী এলাকায় সমাহিত করা হয়। পরবর্তীতে ২০১২ সালের ১৪ই এপ্রিল খালেদের দেহাবশেষ পাহাড়তলী কবর থেকে তুলে পুনরায় জানাজাসহ পূর্ণ শহীদি মর্যাদায় তাঁর পিতা জহুর আহমদ চৌধুরীর কবরের পাশে দামপাড়ায় সমাহিত করা হয়।
ইমাম গাজ্জালী কলেজ যুদ্ধে শহীদদের গণকবর প্রাচীর বেষ্টিত রয়েছে। এছাড়া তাঁদের স্মরণে চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর কেন্দ্রীয় মসজিদের পেছনে ৩২তম ব্যাচের ছাত্রদের উদ্যোগে নতুন করে ‘স্বাধীনতা ভাস্কর্য’ নির্মিত হয়েছে। চুয়েটের শহীদদের স্মরণেও একটি স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়েছে। ইমাম গাজ্জালী কলেজ যুদ্ধের স্থানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা হয়েছে। [জগন্নাথ বড়ুয়া]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৫ম খণ্ড