নিতাইগঞ্জ গণহত্যা (নারায়ণগঞ্জ সদর)
নিতাইগঞ্জ গণহত্যা (নারায়ণগঞ্জ সদর) সংঘটিত হয় ২৮শে মার্চ। এতে ৩ জন সাধারণ মানুষ শহীদ হন। ঘটনার দিন মধ্যরাতে স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় পাকসেনারা নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নিতাইগঞ্জের আর কে দাস রোডের ১১নং বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে। তারা ঐ বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানের মালিক সন্তোষ রায় চৌধুরী (জয়গোবিন্দ হাইস্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক)-র কাছে তার পরিচয় জানতে চায়। তারপর সেখানে অবস্থানরত সকলের পরিচয় জানার পর পাকসেনারা চলে যায়। কিছুক্ষণ পর তারা ফিরে এসে জানালা দিয়ে সন্তোষ রায় চৌধুরী, তার ছোট ভাই লোটন রায় চৌধুরী এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কুমিল্লার নবীনগর থানার কাইতলা গ্রামের গোবিন্দ চন্দ্র পোদ্দারকে ঘুমন্ত অবস্থায় ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করে। এছাড়া পাকসেনারা রাজাকারদের সহায়তায় নিতাইগঞ্জ পুলের ওপর এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর মাসে বিজয়ের আগ পর্যন্ত অনেক নিরীহ মানুষকে হত্যা করে। তারা এখানে প্রতিদিন অনেক মানুষকে এনে হত্যা করত। [রীতা ভৌমিক]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৫ম খণ্ড