You dont have javascript enabled! Please enable it!

নারায়ণডহর যুদ্ধ (হোসেনপুর, কিশোরগঞ্জ)

নারায়ণডহর যুদ্ধ (হোসেনপুর, কিশোরগঞ্জ) সংঘটিত হয় ২৬শে নভেম্বর। এতে ১ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং ২ জন পাকবাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। একই দিন প্যাড়াভাঙ্গা যুদ্ধে খায়রুল জাহান ও মো. সেলিম শহীদ হওয়ার পর পাকবাহিনী দুপাশের গ্রামে ব্যাপক অগ্নিসংযোগ ও সাধারণ মানুষদের হত্যা করতে-করতে হোসেনপুরের দিকে অগ্রসর হয়। এখবর পেয়ে হোসেনপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধারা নারায়ণডহর এলাকায় নুইরার দোকানের (নূরুর দোকান) নিকটবর্তী বিভিন্ন ঝোপ-জঙ্গল ও ধানক্ষেতে ওঁৎ পেতে থাকেন। পাকসেনারা কাছাকাছি এসে পৌঁছলে মুক্তিযোদ্ধারা গুলিবর্ষণ শুরু করেন। পাকসেনারাও পাল্টা গুলি চালায়। ফলে দুপক্ষের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ বেঁধে যায়। প্রায় আধঘণ্টার অবিরাম যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের রসদ ফুরিয়ে আসে। অবস্থা ভাল নয় বুঝতে পেরে মুক্তিযোদ্ধারা কৌশলগত কারণে পিছু হটেন। এ-যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী (পিতা ইয়াছিন, ধুলজুরি) শাহদত বরণ করেন। অপর দুই সহযোদ্ধা আব্দুল মান্নান (ধুলজুরি) ও আব্দুর রাজ্জাক (ধুলজুরি) হানাদার বাহিনীর হাতে ধরা পড়লে পাকবাহিনী আব্দুল মান্নানকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে এবং বুটের তলায় পিষ্ট করে হত্যা করে এবং আব্দুর রাজ্জাকসহ আরো দশজন নিরীহ গ্রামবাসীকে ধরে হোসেনপুরে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাদেরও হত্যা করা হয়।
নারায়ণডহর যুদ্ধে যে-সকল মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করেন, তাঁরা হলেন- আবু তাহের কমান্ডার (তারাকান্দি, পাকুন্দিয়া), আব্দুর রহিম (ধুলজুরি), সুব্রত ভট্টাচার্য নয়ন (ধনকুড়া), মো. রফিকুল ইসলাম (নিরাহারগাতী), এমদাদুল হক (ধনকুড়া), জহিরুল ইসলাম নূরু (নারায়ণডহর), মো. আব্দুস সালাম (ধুলজুরি), আক্কাছ আলী (ধনকুড়া), আলী আশরাফ (কুড়িমারা), নূরুল ইসলাম (কুড়িমারা), শ্যামল চন্দ্র সরকার (ভরুয়া) ও জোবেদ আলী সুইন্যা (ধনকুড়া)। [শাহ্ মো. আফতাব উদ্দিন]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৫ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!