নারায়ণপুর গণহত্যা (আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
নারায়ণপুর গণহত্যা (আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সংঘটিত হয় আগস্ট মাসের প্রথম দিকে। এতে ১৭ জন গ্রামবাসী নির্মম হত্যার শিকার হন।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এপ্রিল মাসে আখাউড়ায় অনুপ্রবেশের পর বিভিন্ন জায়গায় তাদের ক্যাম্প স্থাপন করে। সেখান থেকে গিয়ে তারা এ উপজেলার দুর্গাপুর, আজমপুর, টানপাড়া, খড়মপুর, টানমান্দাইল, জাঙ্গাল, নারায়ণপুর প্রভৃতি এলাকায় হত্যা, নির্যাতন ও লুটপাট চালাত। নারায়ণপুর গ্রামটি আখাউড়া উপজেলার পূর্বদিকে অবস্থিত। এ গ্রামের অধিকাংশ মানুষ ছিল স্বাধীনতাকামী ও আওয়ামী লীগপন্থী। এছাড়া গ্রামটি ভারতের আগরতলা সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ায় এদিক দিয়ে মুক্তিবাহিনী-র নিয়মিত যাতায়াত ছিল। এ কারণেই নারায়ণপুর গ্রাম পাকবাহিনী ও তাদের দোসর দালাল ও রাজাকারদের বিশেষ দৃষ্টির মধ্যে ছিল। আগস্ট মাসের প্রথম দিকে পাকবাহিনীর একটি গ্রুপ অতর্কিতভাবে নারায়ণপুর গ্রামে প্রবেশ করে ১৭ জন মানুষকে এক সঙ্গে বেঁধে খালের কাছে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করে। এদিনের গণহত্যায় শহীদরা হলেন— লালু মিয়া, হাফিজউদ্দিন, দৌলত খাঁ, কামরুল ইসলাম, ফিরোজ মিয়া, বদর উদ্দিন, মাজন মিয়া, আবদুল হক, তারু মিয়া, ওয়ালি মিয়া, মকসুদ আলী, ওসমান মিয়া, কালাচান, হিরন মিয়া, আবু মিয়া, আমজাদ খান ও আলী আহমদ খান। [শফিউদ্দিন তালুকদার]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৫ম খণ্ড