নারায়ণপুর যুদ্ধ (রায়পুরা, নরসিংদী)
নারায়ণপুর যুদ্ধ (রায়পুরা, নরসিংদী) সংঘটিত হয় সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি। এতে কয়েকজন পাকসেনা হতাহত হয়।
ঘটনার দিন খবর পাওয়া যায় যে, পাকসেনারা নারায়ণপুর গ্রাম আক্রমণ করবে। এ খবর পেয়েই মুক্তিযোদ্ধারা তৎপর হয়ে ওঠেন। তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন পাকসেনাদের আক্রমণ প্রতিহত করা হবে। তবে নিরীহ গ্রামবাসীর প্রাণহানি বা কোনোরূপ ক্ষয়ক্ষতি যাতে না হয় সেজন্য মুক্তিযোদ্ধারা স্থানীয় আক্তার কাজী, সার্জেন্ট আ. কাদির, আ. হাই, গফুর মৌলভী ও শমসের আলী ভূঁইয়ার নিকট খবর পাঠান গ্রামের লোকজন যেন অন্যত্র সরে যায়। খবর পেয়ে রাতের মধ্যেই গ্রামবাসীরা বাড়িঘর ছেড়ে যে যেদিকে পারে চলে যায়। রাতের বেলায়ই মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের সম্ভাব্য প্রবেশপথে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে এম্বুশ রচনা করেন। পরের দিন সকাল বেলা হানাদার বাহিনী আক্রমণ করতে আসে। তাদের আক্রমণের আগেই মুক্তিযোদ্ধা গয়েছ আলী মাস্টার, জালাল উদ্দিন ভূঁইয়া, আকমল আলী (নবীনগর), আ. করিম, আ. গফুর (কুমিল্লা), সিরাজ (রাজশাহী) ও নূরুজ্জামান (ময়মনসিংহ)-এর গ্রুপ এম্বুশ থেকে একযোগে হানাদার বাহিনীর ওপর প্রচণ্ড আক্রমণ চালায়। বেশ কিছুক্ষণ যাবৎ যুদ্ধ চলে। এতে কয়েকজন পাকসেনা হতাহত হয়। [মুহম্মদ ইমাম উদ্দিন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৫ম খণ্ড