নারুবাপের প্যারাবন গণহত্যা (কক্সবাজার সদর)
নারুবাপের প্যারাবন গণহত্যা (কক্সবাজার সদর) সংঘটিত হয় একাধিকবার। এতে বহু লোক প্রাণ হারায়।
কক্সবাজার শহরের বদর মোকাম মসজিদ সংলগ্ন বাঁকখালীর তীরে অবস্থিত নারুবাপের প্যারাবনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অন্তত ৫টি গণহত্যা সংঘটিত করে। প্রথম দিনে তারা ক্যাডেট ফরহাদসহ ১৪ জনকে ব্রাশফায়ার করে। ক্যাডেট ফরহাদ গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃতের মতো পড়ে থাকেন এবং বেঁচে যান। হানাদার বাহিনী চলে গেলে ফরহাদ বাঁকখালী নদীতে সাঁতার কেটে উত্তর পাড়ে খুরুশকুল ইউনিয়নের মামুনপাড়া জামে মসজিদের বারান্দায় আশ্রয় নেন। ভোরে ফজরের নামাজ পড়তে আসা লোকজন তাঁকে আহত অবস্থায় দেখতে পায়। মহল্লার সর্দারসহ রাজাকাররা জানতে পেরে ফরহাদকে হানাদার বাহিনীর হাতে তুলে দেয়। পরে আহত ফরহাদকে কক্সবাজার শহরে হানাদার বাহিনীর নিকট পৌছে দেয়া হয়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ফরহাদকে বদর মোকাম মসজিদের কাছে বাঁকখালী নদীর কূলে নারুবাপের প্যারাবনে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় গুলি করে হত্যা করে। ফরহাদের মৃতদেহ বাঁকখালী নদীর পানিতে ভেসে যায়। [জগন্নাথ বড়ুয়া]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৫ম খণ্ড