You dont have javascript enabled! Please enable it!

নারুলী গণহত্যা (বগুড়া সদর)

নারুলী গণহত্যা (বগুড়া সদর) সংঘটিত হয় ১৩ই ডিসেম্বর। এতে দুশতাধিক সাধারণ মানুষ প্রাণ হারায়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার ও আলবদররা এ নৃশংস গণহত্যা চালায়। গণহত্যার পর লাশগুলো গণকবরে মাটিচাপা দেয়া হয়।
ঘটনার দিন নারুলী, নাটাইপাড়া, ধাওয়াপাড়া, সাবগ্রাম, চক আকাশতারা, চেলোপাড়ারসহ বেশ কিছু গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিকামী মানুষ নারুলী বাগানবাড়ির তালপুকুর এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা ইসরাইল হোসেন বুলুর নেতৃত্বে মিছিল নিয়ে সমবেত হয়েছিল। সকালের দিকে পাকিস্তানবিরোধী এ মিছিলটি সাতমাথার দিকে অগ্রসর হতে থাকে। রাজাকাররা মিছিলের খবর পাকবাহিনীকে পৌঁছে দেয়। হানাদার বাহিনীর একটি দল মিছিলটি ঘিরে ফেলে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে। এতে দুশতাধিক মানুষ শহীদ হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- নারুলী মধ্যপাড়ার। ইসরাইল হোসেন বুলু (পিতা কমর উদ্দিন প্রামাণিক), শরীফ উদ্দিন প্রামাণিক (পিতা বুদা প্রামাণিক), বেলায়েত হোসেন, জসিম উদ্দিন, ছফের আলী শেখ, সরাফত আলী শেখ, চক আকাশতারা গ্রামের আব্দুর রহিম, চেলোপাড়া বটতলার শরীফ, উত্তর চেলোপাড়ার বীরেন্দ্র নাথ দাস, নারুলী উত্তর পাড়ার গোপাহার আলী ও মেহেরাজ উদ্দিন (পিতা বসির উদ্দিন)। এছাড়া হানাদার বাহিনী অনেককে দুহাত পিঠমোড়া করে বেঁধে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করে। সকলের মৃত্যু নিশ্চিত হলে তাদের নারুলী তালপুকুর এলাকার ডোবার মধ্যে মাটিচাপা দেয়। [মিলন রহমান]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৫ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!