নামড়ীর পাড় গণহত্যা (আদিতমারী, লালমনিরহাট)
নামড়ীর পাড় গণহত্যা (আদিতমারী, লালমনিরহাট) সংঘটিত হয় দুবার। আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত একটি গ্রাম নামড়ীর পাড়। এখানে বহু রাজাকার – ছিল। তারা আব্দুর রহমান টেক্কার নেতৃত্বে হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজ ও ধর্ষণসহ নানা অপকর্মে যুক্ত ছিল। রাজাকারদের সহযোগিতায় পাকিস্তানি সেনারা মুক্তিযুদ্ধের কোনো এক দিন কিছু লোককে ধরে নামড়ী রেল লাইনের পাশে বামনের দিঘির পাড়ে এনে হত্যা করে। নিহতদের অধিকাংশই এ এলাকার বাইরের হওয়ায় তাদের নাম- পরিচয় জানা যায়নি। যাদের নাম জানা গেছে, তারা হলেন- আব্দুর রহমান (বাওয়াইশ্বরা, পলাশী), মাহতাবউদ্দিন, (ইশ্বরকুল, কাকিনা, কালিগঞ্জ), আবদার রহমান (পিতা হচিবুড়া, মদনপুর, পলাশী) ও সদিরউদ্দিন দেওয়ানী (পিতা ফজলে আলী দেওয়ানী, মদনপুর, পলাশী)।
দ্বিতীয় দফা গণহত্যা সংঘটিত হয় ১৮ই আগস্ট দুপুর বেলা। এদিন নামড়ী বাজার এলাকা সংলগ্ন মদনপুর থেকে ২৫ জন মানুষকে আব্দুর রহমান টেক্কার নেতৃত্বে রাজাকাররা ধরে নিয়ে যায়। এরপর তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। কোনো অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে তাদের হত্যা করা হয়। হত্যার শিকার কয়েকজনের নাম জানা যায়। তারা হলেন- গেন্দু শেখ (পিতা মনছুর মুন্সী), আকবর আলী (পিতা লতিফ শেখ), ভেলকু (পিতা মাছি হোসেন), জহিরউদ্দিন মাস্টার (নামড়ী প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক, পিতা আলহাজ্ব বাবর আলী), গেন্দা শেখ (কৃষক), বশির ধ্যারা (দিনমজুর), ভেকরি, লতিফউল্লাহ (৪৫) (পিতা বাল্লারশেঠ), ফয়ছার রহমান (৩২) (পিতা ফজরউদ্দিন), মাদু শেখ, আবু বক্কর, পনিরউদ্দিন, লাল মাহমুদ লালো (৪৬) (পিতা মো. ইব্রাহিম), সৈয়দার মাস্টার ও চটকু মাহমুদ। [আজহারুল আজাদ জুয়েল]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৫ম খণ্ড