You dont have javascript enabled! Please enable it!

নন্দীগ্রাম থানা অপারেশন (বগুড়া)

নন্দীগ্রাম থানা অপারেশন (বগুড়া) পরিচালিত হয় ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। এতে একজন পাকসেনা বন্দি হয় এবং বাকিরা পালিয়ে যায়। বন্দি পাকসেনাকে মুক্তিযোদ্ধারা মিত্রবাহিনী-র নিকট হস্তান্তর করেন। এ অপারেশনের ফলে নন্দীগ্রাম থানা হানাদারমুক্ত হয়।
বগুড়া শহর থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে নাটোর রোডে নন্দীগ্রাম অবস্থিত। নন্দীগ্রাম থানার কাছে এক প্লাটুন সেনাসহ পাকবাহিনীর একটি ক্যাম্প ছিল। এ ক্যাম্পের সৈন্যরা রাজাকারদের সহায়তায় অত্র এলাকায় সাধারণ মানুষদের ওপর অত্যাচার করত। পাকসেনাদের এ ক্যাম্পটিকে ধ্বংস করার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী আবু বক্কর সিদ্দিকের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের অস্থায়ী ক্যাম্প আবাদপুকুর থেকে রাতের অন্ধকারে নামুইট ও মাঝগ্রামে পৌঁছান। সেখান থেকে তাঁরা কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে ক্যাম্পটির উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অবস্থান গ্রহণ করেন। রাত আনুমানিক দেড়টার সময় মুক্তিযোদ্ধারা ক্যাম্পটির ওপর প্রচণ্ড গুলিবর্ষণ শুরু করেন এবং তা ভোর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচণ্ড আক্রমণের মুখে টিকতে না পেরে পাকসেনারা বগুড়ার দিকে পালিয়ে যায়। নন্দীগ্রাম থানা অপারেশনে মুক্তিযোদ্ধারা একজন পাকসেনাকে বন্দি করেন এবং পরবর্তীতে তাকে মিত্রবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করেন। এ অপারেশনের মধ্য দিয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা হানাদারমুক্ত হয়।সাহিদুর রহমান]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৫ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!