নন্দকুজা নদীতীর বধ্যভূমি (নাটোর সদর)
নন্দকুজা নদীতীর বধ্যভূমি (নাটোর সদর) নাটোর সদর উপজেলায় অবস্থিত। মুক্তিযুদ্ধের সময় এখানে বহু সংখ্যক নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়।
নাটোর সদর উপজেলার পূর্ব প্রান্তে নন্দকুজা নদীর তীরে তেবাড়ীয়া গ্রামের অবস্থান। এ গ্রামের পূর্ব দিক দিয়ে নন্দকুজা নদী প্রবাহিত। নদীটি খানিকটা উত্তর দিক দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে এগিয়ে গেছে গুরুদাসপুর ও চাচকৈড়ের দিকে। এ গ্রামে সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি পুরাতন দালান আজো পাকহানাদার বাহিনী কর্তৃক বাঙালি হত্যা- নিপীড়নের নীরব সাক্ষী হয়ে আছে। বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে বাঙালিদের ধরে এনে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে তথ্য বের করার জন্য পাকিস্তানি বাহিনী তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালাত। নির্যাতনের পর তাদের গুলি এবং জবাই করে নদীতে ভাসিয়ে দিত। কখনো আবার নদীর ধারেই গর্ত করে নিহতদের লাশ মাটিচাপা দিত। স্বাধীনতার পর এখানে শতশত মানুষের কঙ্কাল পাওয়া যায়। মুক্তিযোদ্ধারা জায়গাটি গণকবর হিসেবে চিহ্নিত করেন। উল্লেখ্য, নাটোর দখলের আগে পাকিস্তানি বাহিনী হেলিকপ্টার থেকে শেল নিক্ষপ করে গ্রামটি পুড়িয়ে দেয়। [মতিউর রহমান মর্তুজা]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৫ম খণ্ড