You dont have javascript enabled! Please enable it!

ধামুসা গণহত্যা (কালকিনি, মাদারীপুর)

ধামুসা গণহত্যা (কালকিনি, মাদারীপুর) সংঘটিত হয় ৩০শে জুন। এতে ২৩ জন নিরীহ গ্রামবাসী শহীদ হন। ঘটনার দিন ডাসার ইউনিয়নের ধামুসা গ্রামে স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আক্রমণ করে ২৩ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ড নির্দিষ্ট একটি স্থানে সংঘটিত হয়নি। তারা পুরো গ্রামটিকেই বধ্যভূমিতে পরিণত করে। এ গ্রামের এক পরিবারের ভাবি ও ননদকে পাকিস্তানি সেনারা ধরে নিয়ে যায়। ধর্ষণের পর ২ জনকে বেয়নেট দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ খালে ফেলে দেয়। কয়েক দিন পর বর্তমান ডাসার সৈয়দ আতাহার আলী ডি কে আইডিয়াল কলেজের সামনের খালে এ দুজনের লাশ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়৷ গৌরনদীর বাকাই-কুমারবাড়ি দিয়ে ধামুসা প্রবেশের পথে ডাসারের মোতাহার মাতুব্বর ও পশ্চিম খান্দলি গ্রামের রফি বয়াতিকে তারা গুলি করে হত্যা করে।
ধামুসা গ্রামে গণহত্যায় নিহতদের দুজন ডাসার গ্রামের। তারা হলেন— রফি বয়াতি (পিতা দলিল উদ্দিন বয়াতি ও মোতাহার মাতুব্বর (পিতা মোকছেদ আলী মাতুব্বর)। অন্যরা সবাই ধামুসা গ্রামের। তারা হলেন- নিরঞ্জন গুপ্ত (পিতা অমর চান গুপ্ত), হরিচরণ গুপ্ত (পিতা এককড়ি গুপ্ত), কালাচান সরকার (পিতা গোসাই সরকার), ললিত কুমার গুপ্ত (পিতা শ্রীচরণ গুপ্ত), কার্তিক চন্দ (পিতা মদন চন্দ), সদানন্দ বৈদ্য (পিতা শশী বৈদ্য), রঘুনাথ ঢালী (পিতা রাম কিশোর ঢালী), ধলু বিশ্বাস (পিতা সেকেন্দার বিশ্বাস), লালু ঘরামি (পিতা কালীচরণ ঘরামি), মদন চন্দ (পিতা চন্দ্রনাথ চন্দ), হেমন্ত বেপারী (পিতা জীবন বেপারী), সুমতি রানী গুপ্ত (পিতা জীবন গুপ্ত), বৃহস্পতি গুপ্ত (পিতা অনন্ত গুপ্ত), রাজেন্দ্রলাল বাড়ৈ, কুঞ্জ বিহারী, বাবুল, গোপাল বিশ্বাস, একজন নারী ও তার ননদ এবং আরো দুজন। [বেনজীর আহম্মদ টিপু]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৫ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!