ধরগাঁও অপারেশন (আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ)
ধরগাঁও অপারেশন (আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ) পরিচালিত হয় নভেম্বর মাসে। নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার ও রূপগঞ্জের সীমান্ত এলাকায় ধরগাঁও গ্রামের অবস্থান। পাকসেনারা এ গ্রামে ঢুকে মেয়েদের অত্যাচার করত এবং জোর করে গ্রামবাসীদের হাঁস-মুরগি নিয়ে যেত। মুক্তিযোদ্ধারা তাদের এ অত্যাচার থেকে গ্রামবাসীদের মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। ঘটনার দিন আড়াইহাজার থানার ডেপুটি কমান্ডার কাজী মো. ওয়াজউদ্দীনের নেতৃত্বে বাতেন (মাহমুদপুর, আড়াইহাজার), নুরুল ইসলাম (আড়াইহাজার), মো. রেজাউল করিম (আতাদি, আড়াইহাজার), লালমিয়া (আড়াইহাজার)-সহ দশ-পনেরজন মুক্তিযোদ্ধা পাকসেনাদের অতর্কিতে আক্রমণ করেন। উভয় পক্ষে কিছুক্ষণ যুদ্ধের পর পাকসেনারা পিছু হটে। এর কিছুক্ষণ পর কমান্ডার ওয়াজউদ্দীন দেখতে পান ভুলতা আর্মি ক্যাম্প থেকে একজন লোক ধরগাঁও গ্রামে ঢুকে দুজন বয়স্ক লোকের পাশে এসে বসে। সন্দেহ হওয়ায় তিনি এগিয়ে গিয়ে লোকটির পেছনে স্টেনগান ঠেকিয়ে তাকে তুলে নিয়ে আসেন। সে ছিল একজন রাজাকার। তার কাছে আড়াইহাজার থানার মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের একটি ম্যাপ পাওয়া যায়। তিনি ঘটনাটি আড়াইহাজার থানার কমান্ডার আব্দুস সামাদ (দক্ষিণপাড়া, আড়াইহাজার)কে অবগত করেন। তাঁর নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধারা এ রাজাকারকে হত্যা করেন। [রীতা ভৌমিক]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৫ম খণ্ড