দোহাজারী রেলসেতু অপারেশন (চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম)
দোহাজারী রেলসেতু অপারেশন (চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম) পরিচালিত হয় ১৩ই ডিসেম্বর। এতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বহু সৈন্য হতাহত হয়।
ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে ভারতীয় মিত্রবাহিনী-র মাউন্টেন্ড ডিভিশনের ক্যাপ্টেন দ্রোং-এর নেতৃত্বে বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকায় (বর্তমান বাইতুল ইজ্জত, বিজিবি-র ক্যাম্প) হেলিকপ্টার থেকে কমান্ডো সৈন্য অবতরণ করে। মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনী যৌথভাবে চট্টগ্রাম- দোহাজারী রেলপথে শঙ্খ নদীর ওপর অবস্থিত রেলসেতুর উত্তর দিকে অবস্থান নেয়। বিভিন্ন উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের অবিরাম অপারেশনের কারণে শঙ্খ নদীর দক্ষিণে যতগুলো পাকিস্তানি সেনাচৌকি ছিল, সবগুলো গুটিয়ে তারা দোহাজারীতে এসে ঘাঁটি করে অবস্থান নেয়। ১৩ই ডিসেম্বর যৌথবাহিনী পাকবাহিনীর এ ঘাঁটিতে আক্রমণ করে। দুদিনব্যাপী এখানে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। এ- যুদ্ধে পাকিস্তানি সৈন্যরা পিছু হটতে বাধ্য হয় এবং ঘাঁটি ছেড়ে পালিয়ে যায়। পালানোর সময় তারা শঙ্খ সেতুর কিছু অংশ এক্সপ্লোসিভ দিয়ে ধ্বংস করে যাতে যৌথবাহিনী তাদের পেছনে ছুটতে না পারে। এ অপারেশনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বহু সৈন্য হতাহত হয়। [উদয়ন নাগ]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড