মুক্তিযুদ্ধে দৌলতখান উপজেলা (ভোলা)
দৌলতখান উপজেলা (ভোলা) ভোলা জেলার অন্তর্গত এর উত্তরে ভোলা সদর ও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা, দক্ষিণে বোরহানউদ্দিন ও তজুমদ্দিন উপজেলা, পূর্বে রামগতি উপজেলা এবং পশ্চিমে ভোলা সদর উপজেলা। ১৮৭২ সালে এখানে থানা প্রশাসন গঠিত হয় এবং ১৯৮৩ সালের ১লা আগস্ট এটিকে উপজেলায় রূপান্তরিত করা হয়।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে। কিন্তু পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করে ষড়যন্ত্র শুরু করে এবং জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হলে এর সমর্থনে দৌলতখান থানা সদরে মিছিল ও প্রতিবাদ সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হতে থাকে। এরপর ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনামূলক ভাষণের পর দেশের অন্যান্য স্থানের মতো দৌলতখানেও মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি তৈরি হয়।
৭ই মার্চের পর থেকে দৌলতখানে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু হয়। যুদ্ধের প্রস্তুতিস্বরূপ নজরুল ইসলাম এমপিএ-র উদ্যোগে থানা সদর ও গুপ্তের বাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন “শতদল যুবমেলা’র সদস্যরা এক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে দৌলতখানে সংগ্রাম কমিটি গঠিত হয়। সংগ্রাম কমিটিতে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন- নেহাল হোসেন তালুকদার, নূর সোলায়মান তালুকদার, খোরশেদ আলম চৌধুরী, তোফায়েল মাস্টার, আমজাদ হোসেন, কুট্টি মিয়া, আলিমূল হুদা দারোগা, আব্দুর রশিদ মিয়া, মো. আলী মিয়া, ইব্রাহিম মিয়া, আহমদ উল্যাহ মাস্টার, লতিফ মাস্টার, ওবায়দুল হক, মধুসূদন দত্ত, হাতেম মেম্বার, বারেক মেম্বার, আব্দুস ছালাম ঠান্ডু মিয়া, মো. আজিজ উল্যাহ, মজিবুল হক মুন্সি, আব্দুস ছালাম, শামসুল ইসলাম মনির প্রমুখ। এছাড়া ছাত্রদের সংগঠিত করার জন্য ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। এ কমিটির উল্লেখযোগ্য সদস্য ছিলেন- ছাত্রনেতা আব্দুর রাজ্জাক শশী, খালেকুজ্জামান চৌধুরী, মালেক মাস্টার, তরিকুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম মিন্টু, ছালেহ আহমদ, মোমতাজ, কাদের খান, মোস্তাফিজুর রহমান, আলতাফ মাস্টার, শাহজাহান হাওলাদার, রফিকুল ইসলাম, আব্দুল খালেক, মো. ফারুক, ওয়াজেদ কবির, সালাউদ্দিন সেলিম, মাকসুদুর রহমান, সিরাজ সিকদার, মো. জামাল উদ্দিন, জহুরুল ইসলাম, কালিকা প্রসাদ মনসা, জহিরুল আলম চৌধুরী প্রমুখ। মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভোলার এমপিএ মোশাররফ হোসেন শাহজাহান মিয়া ও কমান্ডার ফিরোজ মিয়া দৌলতখানে এসে মো. নজরুল ইসলাম এমপিএ ও অন্যান্য নেতাদের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করার পরামর্শ দেন। এরপর দৌলতখান হাইস্কুল মাঠ, পাবলিক মাঠ (বর্তমানে গজনবী স্টেডিয়াম), গুপ্তের বাজার, বড়ধলি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়, টনির হাট (বর্তমান বাংলাবাজার) ও মাদ্রাসা মাঠে প্রশিক্ষণ শুরু হয়। প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন— নাছিরুল হক ওরফে রতন চৌধুরী, আনসার কমান্ডার চান মিয়া, হাবিলদার আব্দুস ছোবহান, সানু মিলিটারী, তাতু মিলিটারী, আব্দুস ছাত্তার মিলিটারী, আনসার কমান্ডার মতিউর রহমান, হাবিলদার শাহে আলম, হাবিলদার আফসার উদ্দিন, সুবেদার সিদ্দিকুর রহমান, সুবেদার আব্দুল হাদি, আব্দুল বারি, হাবিলদার কাঞ্চন মিয়া, সিরাজুল হক সেরু প্রমুখ। প্রথমে বাঁশের লাঠি দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়। এরপর দৌলতখান হাইস্কুল থেকে ডামি রাইফেল এবং থানা ও স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত অস্ত্রের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ চলে। মোশাররফ হোসেন শাহজাহান মিয়া এমপিএ প্রশিক্ষণের জন্য কয়েকটি রাইফেল দেন। প্রশিক্ষণার্থী মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল ১৮ই মার্চ নজরুল ইসলাম এমপিএ-এর দৌলতখানস্থ বাসভবনের সামনে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন। নেহাল হোসেন তালুকদার, আব্দুর রাজ্জাক শশী, চৌধুরী খালেকুজ্জামান, আব্দুল মালেক ও শামসুল ইসলাম মনিরসহ বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা এসময় উপস্থিত ছিলেন। ভোলায় পাকবাহিনীর অনুপ্রবেশের পর উক্ত প্রশিক্ষণ ক্যাম্প বন্ধ হয়ে যায়। তবে প্রত্যন্ত এলাকায় প্রশিক্ষণ চলতে থাকে। এ-সময় মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকেই প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে যান। উল্লেখ্য, ২৫শে এপ্রিল বরিশাল সদরে পাকিস্তানি বাহিনী প্রবেশ করার পরপর ভোলা-২ (দৌলতখান) আসন থেকে ১৯৭০-এর নির্বাচনে নির্বাচিত ডা. আজহার উদ্দিন এমএনএ তাদের নিকট আত্মসমর্পণ করেন। এর ফলে অত্র অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।
দৌলতখান উপজেলায় যুদ্ধকালীন কমান্ডার ছিলেন- ইব্রাহিম মিয়া, আলী আকবর বড় ভাই, ফারুক বাচ্চু এবং কাঞ্চন মিয়া।
দৌলতখানের পূর্বদিকে মেঘনা নদীতে পাকবাহিনী গানবোট নিয়ে চলাচল করত। একারণে মুক্তিযোদ্ধাদের চৌকিঘাটায় পাকবাহিনীর অনুপ্রবেশ ঠেকানোর জন্য ৭ই এপ্রিল আনসার কমান্ডার চান মিয়ার নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি পাহারা চৌকি বসানো হয়। ১৪ই এপ্রিল পাকবাহিনীর একটি পেট্রোল গানবোট মেঘনা নদী দিয়ে দক্ষিণ দিক থেকে উত্তর দিকে যাওয়ার পথে মুক্তিযোদ্ধারা গানবোটটির ওপর গুলি করেন। পাকসেনারাও গানবোট থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের দিকে পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। ১০-১৫ মিনিট গুলি বর্ষণের পর গানবোটটি উত্তর দিকে চলে যায়। এরপর মুক্তিযোদ্ধারা পাহারা চৌকি গুটিয়ে ফেলে।
পাকবাহিনীর অনুগত পুলিশ, শান্তি কমিটি -রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ২২শে অক্টোবর পর্যন্ত দৌলতখান থানা নিয়ন্ত্রণ করে। ২৭শে অক্টোবর বাংলাবাজার যুদ্ধ শেষে পাকবাহিনী দৌলতখান প্রবেশ করে এবং সদ্যনির্মিত হাসপাতাল ভবনে ক্যাম্প স্থাপন করে।
এ উপজেলায় পাকবাহিনীর সহযোগী সংগঠন হিসেবে মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলামী এবং ইসলামি ছাত্র সংঘ-এর তৎপরতা ছিল। এদের নেতৃত্বে এখানে শান্তি কমিটি, রাজাকার ও আলবদর বাহিনী গঠিত হয়। আব্দুল গফুর মিয়াকে সভাপতি ও মিলন মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে শান্তি কমিটি গঠিত হয়। আতিক উল্লাহ চৌধুরী, মজিবল হক মাস্টার, নান্নু মাস্টার, হাদিস হাওলাদার, সিরাজুল ইসলাম, হাকিম মৌলভী, ইদ্রিস হাওলাদার, সামসুদ্দিন মিয়া ও আতিক উল্লাহ হাওলাদার শান্তি কমিটির পক্ষে কাজ করে। রাজাকার বাহিনীর সদস্য ছিল- সিরাজুল হক (সেরু কমান্ডার), শাহে আলম, খোরশেদ আলম, মো. রতন, আবুল ফাত্তাহ, নজীর মাওলানা, ইউনুছ মহাজন, ঠাকুর মহাজন, মালেক মুন্সি, কুদ্দুস মাঝি, নূরুল ইসলাম মাওলানা, আ. ওয়াদুদ, আজিজল মাওলানা, মুকবুল কমান্ডার, ইউনুছ, জেবল হক, ছবি: রেহানা পারভিন ইব্রাহিম আকন, তোফায়েল ও রতন মাঝি। আলবদর বাহিনীর সদস্য হিসেবে তৎপর ছিল মো. ছালাউদ্দিন। রাজাকার ও আলবদর বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান ও তাদের সহায়তাকারীদের বসতবাড়ি, হিন্দুপ্রধান এলাকা এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের ঠিকানা পাকবহিনীকে নিয়মিত সরবরাহ করত।
পাকসেনারা এ উপজেলায় প্রবেশ করার পর জোবেদ আলী ফরাজী (চরপাতা), কৃষ্ণকান্ত ভক্ত (ভবানীপুর), শাহ আলম, গফুর সর্দ্দার ও মন্নান চাপরাশিকে হত্যা করে। খাসের হাট, গুপ্তের বাজার ও হিন্দুপ্রধান এলাকায় তারা নারীনির্যাতন চালায়। সত্যবতী দেবী, মণিপাল, আশা কুণ্ডু, প্রতিমা কুণ্ডু ও পুতুল দাশসহ অনেক নারী তাদের নির্যাতনের শিকার হন। হানাদাররা দৌলতখান উপজেলার সার্কেল অফিসার (সিও) আব্দুল হামিদ ও তার স্ত্রী জেবুন্নেসা-কে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করার জন্য থানায় ধরে এনে কয়েকদিন নির্যাতন শেষে নির্মমভাবে হত্যা করে। পাকসেনারা নজরুল ইসলাম এমপিএ-র বাড়ি, দক্ষিণ জয়নগরের বেপারী বাড়ি, পশ্চিম জয়নগরের আব্দুল গণী ও কাসেম পোদ্দারের বাড়ি, উত্তর জয়নগরের আজিজ উদ্দিন হাওলাদার ও দিদার উল্লাহ ফকিরের বাড়ি, বাংলাবাজারের জেবাল মিয়া, নেজামূল মিয়া, বিরেন পাল ও শৈলেন পালের বাসা, গুপ্তের বাজারের চৈতা কুণ্ডু ও কালু চৌধুরীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়া তারা গুপ্তের বাজার, গুইঙ্গার হাট, বাংলাবাজার ও মৃধার হাটে অগ্নিসংযোগ করে।
দৌলতখানে পাকবাহিনীর কোনো বন্দিশিবির ও নির্যাতনকেন্দ্র ছিল না। এখান থেকে লোক ধরে নিয়ে ভোলায় পাঠিয়ে দেয়া হতো। এ উপজেলায় একটি বধ্যভূমি রয়েছে, যা সুইজ গেট বধ্যভূমি নামে পরিচিত।
দৌলতখান থানা রাজাকারদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ২৩শে অক্টোবর মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমণ করে থানা দখল করেন। কিন্তু ২৭শে অক্টোবর পাকবাহিনী আবার তা দখলে নিয়ে রাজাকারদের পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে। ২৬শে নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা স্থায়ীভাবে থানা দখল করেন। তিনবারের এ-যুদ্ধ «দৌলতখান থানা যুদ্ধ হিসেবে পরিচিত। ২৭শে অক্টোবর ঘুইঙ্গার হাটের যুদ্ধ- সংঘটিত হয়। এতে ১২ জন হানাদার নিহত এবং ৮ জন মুক্তিযোদ্ধা ও ৪ জন গ্রামবাসী শহীদ হন। একই দিন বাংলা বাজার যুদ্ধ- সংঘটিত হয়। এতে ৪৫ জন মুক্তিযোদ্ধা ও ২০-২৫ জন সাধারণ মানুষ শহীদ হন এবং ১০-১৫ জন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন। এ সময় টনির হাটের যুদ্ধ হয়। ২১শে নভেম্বর গুপ্তের বাজার যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ-যুদ্ধে পাকবাহিনীর একজন সুবেদার নিহত ও কয়েকজন সৈন্য আহত হয়। ২৬শে নভেম্বর দৌলতখান উপজেলা হানাদারমুক্ত হয়।
উপজেলার খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, বীরশ্রেষ্ঠ (পিতা মো. হাবিবুর রহমান, পশ্চিম হাজীপুর), মো. শাহ আলম, বীর উত্তম (পিতা আরফান আলী ফরাজী, দেদার উল্লাহ) ও রফিকুল ইসলাম, বীর বিক্রম (পিতা সেকান্দর আলী, লেজপাতা)।
দৌলতখান উপজেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, বীরশ্রেষ্ঠ (আখাউড়ার গঙ্গাসাগর যুদ্ধে শহীদ), শাহ্ আলম, বীর উত্তম (কানাইঘাট যুদ্ধে শহীদ), রফিকুল ইসলাম, বীর বিক্রম (কালীহাতি যুদ্ধে শহীদ), আনোয়ার আলী, (পিতা আমের আলী, মধ্য জয়নগর), খোরশেদ আলম (মধ্য জয়নগর), দাইমদ্দিন, (মধ্য জয়নগর), তাজুল ইসলাম (মধ্য জয়নগর), শহীদুল হক, (উত্তর জয়নগর), শাহে আলম (মধ্য জয়নগর), সৈয়দ আহমদ (উত্তর জয়নগর), হাসমত আলী (উত্তর জয়নগর), মুজাফ্ফর বেপারী (উত্তর জয়নগর), সেকান্দর আলী (মধ্য জয়নগর), আলমগীর (মধ্য জয়নগর), সামসুল হক শরীফ (মধ্য জয়নগর), সামসুদ্দিন আহমেদ (চরপাতা), ল্যান্স নায়েক মনির (ফরিদপুর), আনসার সদস্য শামসুদ্দিন আহম্মেদ (চরপাতা), শাহ আলম (চরকুমারিয়া), নায়েক সুবেদার কায়সার আহাম্মদ (চানপুর, মেহেন্দিগঞ্জ), আবদুল মান্নান, দিলীপ, খলিলুর রহমান (উত্তর দিঘলদী, বানেশ্বর), উত্তম সিকদার (কুতুবা), সোলায়মান (গজারিয়া) ও আব্দুর রশীদ তালুকদার।
দৌলতখানে শহীদ সার্কেল অফিসার আব্দুল হামিদ ও তাঁর স্ত্রী জেবুন্নেসা’র কবর চিহ্নিত রয়েছে। এ ছাড়া শহীদ আবদুল হামিদ (সিও)-এর স্মরণে একটি মিনার নির্মিত হয়েছে। দৌলতখানে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের নামে নির্মিত হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল ভবন। মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে নির্মিত হয়েছে লঞ্চ টার্মিনাল, টাউন হল, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও শিশু নিকেতন। [মো. রফিকুল ইসলাম]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড