দেহুন্দা-গুদারাঘাট যুদ্ধ (করিমগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ)
দেহুন্দা-গুদারাঘাট যুদ্ধ (করিমগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ) সংঘটিত হয় অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারদের মধ্যকার এ-যুদ্ধে কোনো পক্ষেরই কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
করিমগঞ্জ থানা থেকে দেহুন্দা-গুদারাঘাটের দূরত্ব আনুমানিক ৫ কিলোমিটার। মুক্তিযোদ্ধারা আগস্ট মাসের শেষদিকে অত্র এলাকার আশেপাশে বিভিন্ন গ্রুপে অবস্থান নেন। তাঁদের অনেকেই ছিলেন করিমগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। কোম্পানি কমান্ডার এম এ হান্নানের নেতৃত্বে তাঁরা করিমগঞ্জ থানা আক্রমণ করার উদ্দেশ্যে নরসুন্দা নদীর পশ্চিম পাশে অবস্থান নেন এবং দিনক্ষণ ঠিক করেন। ইতোমধ্যে রাজাকার কমান্ডার আ. মান্নান ও নাছির উদ্দিন খবর পায় যে, দু-চার দিনের মধ্যে মুক্তিবাহিনী তাদের আক্রমণ করবে। অতএব তারাও প্রস্তুতি গ্রহণ করে। কিশোরগঞ্জ থেকে কয়েকজন পাকসেনা এসে তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। ঘটনার দিন রাতে মুক্তিযোদ্ধারা গুদারাঘাটের পশ্চিম দিক থেকে নদীর পূর্বপাড়ে অবস্থানরত শত্রুদের লক্ষ করে হালকা গুলিবর্ষণ করলে পাকবাহিনীর সহায়তায় রাজাকাররাও পালটা গুলি চালায়। মাত্র ২০-২১ জন মুক্তিযোদ্ধা কিছুক্ষণ গোলাগুলি করে পশ্চিম দিকে সরে যান। রাজাকার বাহিনীও থানায় ফিরে যায়। কোনো পক্ষেই কেউ হতাহত হয়নি। আক্রমণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ছিলেন মো. লোকমান, মো. হাবিবুর রহমান, মো. হেলালউদ্দিন, মো. বিল্লাল মিয়া, কুতুব উদ্দিন, মো. আবু ছিদ্দিক, মো. আবু তাহের, আনিছ ফকির, সুখেন্দু সরকার, মো. আ. ছাত্তার প্রমুখ। [সালেহ আহমেদ]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড