You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.05.24 | দৈহারী গণহত্যা (স্বরূপকাঠি, পিরোজপুর) - সংগ্রামের নোটবুক

দৈহারী গণহত্যা (স্বরূপকাঠি, পিরোজপুর)

দৈহারী গণহত্যা (স্বরূপকাঠি, পিরোজপুর) সংঘটিত হয় ২৪শে মে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও স্থানীয় রাজাকারদের দ্বারা সংঘটিত এ গণহত্যায় ১২ জন সাধারণ মানুষ প্রাণ হারায়।
ঘটনার দিন স্থানীয় রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার মাওলানা আব্দুল কাদের, আব্দুল খালেক তালুকদার ও দৈহারী সারেংকাঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ. জব্বার আকনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় হানাদার বাহিনী দৈহারী গ্রামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ, আগ্নিসংযোগ, নারীনির্যাতন ও লুটতরাজে মেতে ওঠে। তারা দৈহারী বাজার লুটতরাজ করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে এ নারকীয় ঘটনা। দৈহারী গণহত্যায় ১২ জন মানুষ নিহত হন। তারা হলেন- দৈহারী গ্রামের প্রসন্ন কুমার মণ্ডল (পিতা গৌরচাঁদ মণ্ডল), ননী মণ্ডল (পিতা যজ্ঞেশ্বর মণ্ডল), কার্ত্তিক চন্দ্র সিকদার (পিতা নন্দকুমার সিকদার), শরৎচন্দ্র চক্রবর্তী (পিতা ঈশান চক্রবর্তী), হরিদাস মজুমদার (পিতা ভোলানাথ মজুমদার), কুমার ভুঞ্জ মালী (পিতা নকুলেশ্বর ভুঞ্জ মালী), সুরেন্দ্রনাথ ঋষি (পিতা মেঘনাথ ঋষি), রমণী দাস ঋষি (পিতা ভক্ত দাস ঋষি), কমল দাস ঋষি (পিতা ভক্ত দাস ঋষি), কৃষ্ণপদ ঋষি (পিতা রাইচরণ ঋষি), কালীচরণ ঋষি (পিতা রাইচরণ ঋষি) ও সুভাষিণী হালদার (স্বামী মাখনলাল হালদার)। ১৯৭৩ সালে শহীদদের স্মরণে দৈহারীতে প্রতিষ্ঠিত হয় শহীদ স্মৃতি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। [হাবিবুল্লাহ রাসেল]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড