১৪ এপ্রিল ১৯৭১ঃ তাজউদ্দিনের নোট
১) মন্ত্রীপরিষদ সদস্য অথবা মন্ত্রী পরিষদ কতৃক ক্ষমতা প্রাপ্ত কেউ ব্যতিরেকে কোন ব্যক্তি ভারত সরকার কোন রাজ্য সরকার অথবা কোন বিদেশী সরকার অথবা কোন রূপ প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি সংবাদ মাধ্যমের সাথে যোগাযোগ করবেন না এবং ভারতে অবস্থানরত কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তার পরিচয় গোপন করে চলবেন। ২) ক্যাবিনেটের অনুমোদন ব্যতিরেকে কোন ব্যক্তি বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করবেন না।
৩) সরকার কতৃক কোন মুদ্রা না ছাপানো পর্যন্ত দ্বৈত মুদ্রা বেবস্থা চালু থাকবে। পুরনো পাকিস্তানী নোটের উপর বাংলাদেশ ছাপ থাকবে।
৪) প্রাক্তন ন্যাশনাল ব্যঙ্ক অব পাকিস্তান বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ব্যাংক রুপে কাজ করবে।
৫) জরুরী প্রয়োজন মেটাতে ভারত ও অন্য বন্ধু দেশ হতে ব্যয় নির্বাহের জন্য ঋণ পাওয়া যাবে। প্রাথমিক খরচ এক কোটি টাকা হবে।
৬) বেসামরিক জনগনের জন্য সীমান্ত এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য এর সংগ্রহ ও পরিবহন করতে হবে। দেশের অভ্যন্তরে তা পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে
৭) ৬ ক্রমিকের বিষয়ে রেশনিং চালু রাখতে হবে।
৮) মুক্তাঞ্চল ও সীমান্তে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য হাসপাতাল করতে হবে। ঔষধ চিকিৎসা সামগ্রী টীকা প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।
৯) সকল প্রকার সামরিক প্রশিক্ষন জোরদার
১০) দেশ থেকে আগত প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষনের বেবস্থা করা।