দেওয়ানের খামার গণকবর (ভুরুঙ্গামারী, কুড়িগ্রাম)
দেওয়ানের খামার গণকবর (ভুরুঙ্গামারী, কুড়িগ্রাম) ভুরুঙ্গামারী হাটের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে সার্কেল অফিসারের কার্যালয়ের অদূরে ১ একর জমিতে অবস্থিত। ২৮শে মে থেকে ১৪ই নভেম্বরের মধ্যে পাকবাহিনী ও তাদের দোসররা ভুরুঙ্গামারীতে যে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করে, তাদের অনেককে এ গণকবরে সমাহিত করা হয়। স্বাধীনতার পর এ গণকবরে অন্তত ১৫০ জন মানুষের হাড়গোড় পাওয়া যায়। মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক মানুষের মৃতদেহ এখানে পড়ে ছিল। তখন মানুষ ভয়ে এখানে আসত না।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর ধরলা নদী অবরোধ ভেঙ্গে গেলে পাকবাহিনী এখানে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অনেক মানুষকে হত্যা করে। তাদের লাশ দেওয়ানের খামার গণকবরে ফেলে রাখা হয়। এছাড়া প্রতিমাসে ন্যূনপক্ষে ১০-১২ জনকে হত্যা করে গণকবরে ফেলে রাখা হতো। এ গণকবরের পাশে সংঘটিত বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডে জামায়াত নেতা হাজী কমরউদ্দিন, তার সহযোগী মুসলিম লীগ নেতা আহাম্মদ হোসেন মিয়া, জয়েনুদ্দিন মাস্টার (পাইকেরছড়া), হাজী জব্বার আলী (খাটামারী), মওলানা আব্দুল আজিজ (পাইকেরছড়া), ডা. আব্দুল জব্বার (কামাত আঙ্গারীয়া) ও খোকা দালালসহ অন্যরা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল। [এস এম হারুন অর রশীদ লাল]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড