You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.05.15 | দীর্ঘা গণহত্যা (নাজিরপুর, পিরোজপুর) - সংগ্রামের নোটবুক

দীর্ঘা গণহত্যা (নাজিরপুর, পিরোজপুর)

দীর্ঘা গণহত্যা (নাজিরপুর, পিরোজপুর) সংঘটিত হয় ১৫ই মে। এতে ৪১ জন সাধারণ মানুষ নির্মম হত্যার শিকার হন।
পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার হিন্দু অধ্যুষিত একটি গ্রাম দীর্ঘা। এটি কালীগঙ্গা ও তালতলা নদীর মোহনায় অবস্থিত। ১৫ই মে সকাল সাড়ে দশটার দিকে পাকবাহিনী গানবোটযোগে এসে প্রথমে দীর্ঘা বাজারে অগ্নিসংযোগ করে। এরপর দীর্ঘা গ্রামে প্রবেশ করে ৪১ জন সাধারণ মানুষকে কাউকে গুলি করে কাউকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে-খুঁচিয়ে হত্যা করে। দীর্ঘা গণহত্যায় শহীদরা হলেন- ননীগোপাল হালদার (ঘোষকাঠি), ডা. আলমগীর হাওলাদার (লেবুজিলবুনিয়া), ভূপেন মণ্ডল (পিতা যাদব মণ্ডল, মণ্ডলবাড়ি), নারায়ণ চন্দ্র হালদার (ঘোঘকাঠি), মণীন্দ্রনাথ হালদার (শিক্ষক, দীর্ঘা), জাকির হোসেন (গোবর্ধন), কার্তিক চন্দ্র হালদার (ছৈলাবুনিয়া), ফণীভূষণ বেপারী (গোবর্ধন), কুটিশ্বর শিকদার (রামনগর), ঠাকুর চাঁদ শিকদার (দীর্ঘা কুমারখালী), আসমান তারা হালদার (রামনগর), বীরেন্দ্র চন্দ্র হালদার (ঠুটাখালী), নগেন্দ্ৰনাথ বড়াল (দীর্ঘা কুমারখালী), রামপ্রসাদ মিস্ত্রী (দীর্ঘা কুমারখালী), অনন্ত কুমার হালদার (ঘোষকাঠি), বসন্ত কুমার মণ্ডল (মনোফল), অবিনাশ মিস্ত্রী (ছয়ঘরিয়া), বিনোদ বিহারী বড়াল (ছৈলাবুনিয়া), সখিচরণ ওরফে সখানাথ হালদার (দীর্ঘা), সূর্যকান্ত হালদার (দীর্ঘা), সতীন্দ্রনাথ হালদার (দীর্ঘা), যোগেশ চন্দ্র হালদার (দীর্ঘা), কৈলাশ চন্দ্র হালদার (রামনগর), শশীভূষণ হালদার (ঘোষকাঠি), জগদীশ চন্দ্র হালদার (ঘোষকাঠি), ধলু মণ্ডল (বানিয়াকাঠি), শশী কুমার হালদার (দীর্ঘা), রমেন্দ্রনাথ মণ্ডল (দীর্ঘা), অতুল চন্দ্র অধিকারী (কবিরাজ, দীর্ঘা), বিবেক হালদার (দীর্ঘা), শ্রীনাথ ঘরামী (দীর্ঘা), রাজেন্দ্রনাথ ঘরামী (দীর্ঘা), বসন্ত কুমার গোলদার (বানিয়াকাঠি), যোগেশ চন্দ্র ঢালী (দীর্ঘা), মহেন্দ্রনাথ শিকদার (গোবর্ধন), আমজাদ হোসেন (গোবর্ধন), দুলাল হালদার (দীর্ঘা), আবুল বাশার তালুকদার (বাঁশবাড়িয়া), জগদীশ চন্দ্র বৈরাগী (মধুরাবাদ), শ্যামললাল (টোনা) ও নটবর বেপারী (ভীমকাঠি)। [শফিউদ্দিন তালুকদার]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড