You dont have javascript enabled! Please enable it!

দিগরপানখালী হিন্দুপাড়া হত্যাকাণ্ড (চকরিয়া, কক্সবাজার)

দিগরপানখালী হিন্দুপাড়া হত্যাকাণ্ড (চকরিয়া, কক্সবাজার) ১২ই মে সংঘটিত হয়। এ গণহত্যায় বিশিষ্ট স্বর্ণ ব্যবসায়ী পিয়ারী মহাজনসহ ৩ জন মানুষ শহীদ হন।
চকরিয়া উপজেলার দিগরপানখালী ও ঘুনিয়া গ্রাম ছিল সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা। এ গ্রামের প্রায় সকলেই ছিল স্বর্ণ-রৌপ্য ব্যবসায়ী। ১২ই মে দুপুর বেলা স্থানীয় রাজাকার মেজর জামান-এর নেতৃত্বে চকরিয়া থানার দুজন পুলিশ ও পাকিস্তানি সৈন্যরা এ গ্রাম আক্রমণ করে গণহত্যা, লুণ্ঠন এবং অগ্নিসংযোগ করে। এ-সময় রাজাকার-আলবদররা বিশিষ্ট স্বর্ণ ব্যবসায়ী পিয়ারী মহাজন (পিতা শ্যামা চরণ দে)-কে ধরে নিয়ে যায়। হানাদাররা পিয়ারী মহাজনের বাড়িতে ব্যাপক লুটপাট চালায় এবং পাকা বসত বাড়িটি-পেট্রোল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। তারা এ বাড়িতে মজুদ থাকা প্রায় আড়াই মন স্বর্ণ, ২২ মন রৌপ্য এবং নগদ সাড়ে চার লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। তারা হিন্দুপাড়ার যতীন্দ্র মোহন দে (পিতা ধৈর্য কুমার দে) ও অনিল কান্তি দাশ (পিতা রজনী কান্তি দাশ)-কে গুলি করে হত্যা করে। এ-সময় আরো ৮-১০ জন মানুষ হানাদার বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হন। পরদিন পিয়ারী মহাজনকে হ কক্সবাজার নিয়ে যাওয়ার পথে কক্সবাজার, লামা ও আলিকদমের সংযোগ স্থল ফাঁসিয়াখালী ঢালা বা হাঁসের দিঘীতে গুলি করে হত্যা করা হয়। তাঁর লাশ পাওয়া যায়নি। [জগন্নাথ বড়ুয়া]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!