দিঘীরপাড় গণহত্যা (চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ)
দিঘীরপাড় গণহত্যা (চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ) সংঘটিত হয় ১১ই মে। এতে ৯ জন নিরীহ মানুষ শহীদ হন।
চুনারুঘাট থানা থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় গাজীপুর ইউনিয়নের বাল্লা ইপিআর ক্যাম্পের পাশে এ গ্রামটির অবস্থান। ইপিআর ক্যাম্পেই পাকবাহিনী অবস্থান নিয়েছিল। ঘটনার দিন হঠাৎ করে পাকবাহিনী গাড়ি থেকে নেমে এ গণহত্যা চালায় এবং শহীদদের লাশগুলো টেনে-হিঁচরে সাগরদিঘীর পাশে একটি গর্তের মধ্যে মাটিচাপা দেয়। দিঘীরপাড় গণহত্যায় শহীদ গ্রামবাসীরা হলেন— মনতাজ মুন্সি (৬০), আব্দুল খালেক (৫৫), আব্দুল নুর, ফুল বানু (৩০), মজর উল্লা, আলম উল্লা, ফজলুল হক (৩০), আব্দুল কাদির (৭০) ও ওমর মিয়া (কনা মিয়া) (৭০)। এদিন তারা গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদ ও আসামপাড়া বাজার সংলগ্ন গোবরখোলা গ্রামে হানা দিয়ে ৯ পাঞ্জাব রেজিমেন্টের ফিল্ড ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল কদ্দুছ খান (অনু মিয়া)-কে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেয়ার কারণে ধরে শ্রীমঙ্গলে নিয়ে হত্যা করে। একই দিন অনু মিয়ার চাচা ধর্মপ্রাণ মুসল্লি হাজী ইছাক মিয়া (৮০)-কে মসজিদ থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করে সাগরদিঘীর পাশে ফেলে রেখে যায়। [মিলন রশীদ]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড