You dont have javascript enabled! Please enable it!

১৩-১৪ তারিখ রাতে পাক বাহিনী মুক্তিবাহিনীর অবস্থানের উপর ব্যাপক হামলা চালায়

ভোরের দিকে মুক্তিবাহিনীর বিভিন্ন দলের সাথে ওয়ারলেস যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সকালে মুক্তি বাহিনী নওয়াবগঞ্জের দিকে সরে আসে। গোদাগাড়ীতে মুক্তিবাহিনী একত্রিত হলে ক্যাপ্টেন গিয়াস তার ১০০০ সদস্য থেকে ৩০০ সদস্য এর উপস্থিতি পান। রাজশাহীতে মুক্তিবাহিনীর ৪০-৫০ জন নিহত হয়। রাজশাহীতে পরাজয়ের মুখে মুক্তিযোদ্ধারা একেবারে ভেঙ্গে পড়ে।  পাকবাহিনী সান্তাহার পৌঁছালে বিহারীরা হানাদারদের সাথে মিলিত হয়ে আশেপাশের গ্রামগুলো ঘেরাও করে এবং নারী-পুরুষ নির্বিশেষে অগনিত মানুষকে হত্যা করে। এ হত্যাযজ্ঞ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ‘সান্তাহার গণহত্যা’ নামে পরিচিত। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক প্রেস রিলিজে বলা হয় তাদের বাহিনী সম্পূর্ণভাবে রাজশাহীর দখল নিয়েছে।