১৪ এপ্রিল ১৯৭১ঃ বাহিনী পুনর্গঠন ও প্রতিরোধ যুদ্ধ –ভৈরব আশুগঞ্জ
ভৈরবের রামপুরে ১৪ তারিখে সুবেদার আফতাবের দলের সাথে আরেকটিদল যোগ দেয়। এ দলের সাথে মেশিন গান ছিল। এদিন দুপুরের দিকে পাক বিমান হামলা বেড়ে যায় তার উপর মুক্তিবাহিনীর গোলাবারুদ শেষ হয়ে আসে। এর মধ্যে পাক আর্টিলারি আক্রমন বেড়ে যায়। সুবেদার আফতাবের দল আশুগঞ্জে ফেরত যাওয়ার চিন্তা করে। এ সময়েই এ বাহিনীর কাছে বেঙ্গলের একজন সৈন্য ছত্রভঙ্গ হয়ে আশ্রয় নেয়। সে জানায় আশুগঞ্জে হেলিকপ্টারে পাক সৈন্য নেমেছে এবং বিমান হামলা জোরদার হয়েছে। সবাই ওপারেই এদিক সেদিক চলে গেলেও সে নিরাপদ ভেবে এ পাড়ে এসেছে। সুবেদার আফতাবের আরেক প্লাটুন কমান্ডার যে আরও দূরে ছিল সেই নায়েব সুবেদার সুলতানকে ডেকে পাঠান। নায়েব সুবেদার সুলতান তার দলে যোগদান করার পর সিদ্ধান্ত হয় ছোট ছোট দলে সবাই পালিয়ে যাবে। পরে দলটি কুলিয়ারচর চলে যায়। সেখান তারা আরেকটি ছোট দলের সাক্ষাৎ পায়। সেখান থেকে পড়ে তারা ২ বেঙ্গলে যোগ দেয়। সুলতান পরে নলুয়া চা বাগান এম্বুস এ বীরবিক্রম খেতাব পেয়েছিলেন।