বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেপালের আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী, রাজনীতিবিদ ও সাবেক স্পিকার দামান নাথ ধুঙ্গানা
দামান নাথ ধুঙ্গানা (জন্ম ১৯৪২) নেপালের আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী, রাজনীতিবিদ ও সাবেক স্পিকার। তিনি ১৯৪২ সালের ৩০শে জানুয়ারি নেপালের কাঠমাণ্ডুর বত্তিসপুতলিতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি (১৯৬২-৬৩) ও সভাপতি, নেপাল ল সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী সদস্য, এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী সদস্য (১৯৭১), নেপাল বার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক (১৯৭১-৭৩, ১৯৭৬-৭৯), সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি (১৯৮৪), নেপালের দ্বিতীয় সংসদীয় সংবিধানের খসড়া প্রণয়ন সংক্রান্ত সংবিধান সুপারিশ কমিশনের সদস্য (১৯৯০), নেপালের প্রতিনিধি সভার স্পিকার (১৯৯১-৯৪), ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (নেপাল অধ্যায়)-এর সভাপতি (১৯৯৭-৯৮), কাঠমাণ্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ইত্যাদি পদে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি নেপালের সংসদ সদস্য এবং নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়নের জন্য নব্বই দশকের মাঝামাঝি থেকে নেপালের সাংবিধানিক পরিষদের প্রধান আইনজীবী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। মানবাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কাজে নিয়োজিত থাকায় তাঁকে একাধিকবার কারাবরণ করতে হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী সদস্য হিসেবে দামান নাথ ধুঙ্গানা পাকিস্তান সরকারকে বাংলাদেশে গণহত্যা বন্ধ করার জন্য বারবার চাপ প্রয়োগ করেন। বিশ্ববাসীকে গণহত্যা সম্বন্ধে অবহিত করে বিশ্ব বিবেককে জাগ্রত করার জন্য তিনি ও তাঁর প্রতিষ্ঠান নিরলস প্রচেষ্টা চালান।
মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ১৫ই ডিসেম্বর ২০১২ দামান নাথ ধুঙ্গানা-কে মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা প্রদান করা হয়। [কাজী সাজ্জাদ আলী জহির]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড