You dont have javascript enabled! Please enable it!

দশরসিয়া গণহত্যা (চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর)

দশরসিয়া গণহত্যা (চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর) সংঘটিত হয় ১০ই অক্টোবর। এতে বহু সাধারণ মানুষ প্রাণ হারায়। পাকহানাদার বাহিনী চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ইসলামপুর ইউনিয়নের দশরসিয়া গ্রামে এক নির্মম গণহত্যা চালায়। তারা গ্রামে প্রবেশ করে সামনে যাদের পায় তাদেরই হত্যা করে। পার্শ্ববর্তী পোড়াগ্রাম ও তেররসিয়া গ্রামসহ দশরসিয়ায় পাকিস্তানি হানাদাররা প্রায় ২০০ মানুষকে হত্যা করে। দশরসিয়ার প্রতিটি বাড়িতে তারা অগ্নিসংযোগ করে। অগ্নিসংযোগের আগে তারা লুট করে নেয় প্রতিটি বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র। তারা গোয়াল ঘরে আগুন জ্বালিয়ে গবাদিপশু পুড়িয়ে মারে। গ্রামের যুবক, বৃদ্ধ, শিশু, কিশোর সবার ওপরে অবর্ণনীয় নির্যাতন চালায়। বৃদ্ধ পিতার সামনে পুত্রকে হত্যা এবং স্বামীর সামনে স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। মায়ের বুক থেকে সন্তান কেড়ে নিয়ে আছড়ে মারে।
সেদিন দশরসিয়া গ্রামে যারা গণহত্যার শিকার হন, তারা হলেন- আলতাফ হোসেন (পিতা এমাজুদ্দিন), নজর আলী (পিতা রমজান আলী), আফলাতুন মুন্সী (পিতা ডুবু কবিরাজ), হোসেন আলী (পিতা নওসাদ আলী), এমাজ উদ্দিন (পিতা জেসারন আলী), বানুরুদ্দীন (পিতা জেসারন আলী), মেছবার আলী (পিতা দিদার মণ্ডল), ইউনুস আলী (পিতা দিদার মণ্ডল), আনিস (পিতা দিদার মণ্ডল), আবুল কাইউম (পিতা আফলাতুন মুন্সী), সোহরাব আলী (পিতা ইউনুস মোল্লা), মোজাফ্ফর হোসেন (পিতা শাহ মোহাম্মদ), আইউব আলী (পিতা হাজী ইয়ার মোহাম্মদ), নুহু মিয়া (পিতা হাজী ইয়ার মোহাম্মদ), কালু মিয়া (পিতা রিয়াজ উদ্দীন), ইসমাইল (পিতা নূর মোহাম্মদ), সাজুরুদ্দীন (পিতা মো. ইসমাইল), খোকা মিয়া (পিতা বানুরুদ্দীন), মকবুল হোসেন (পিতা কলিমুদ্দীন), আবদুল (পিতা এমাজউদ্দিন), তাইনুস (পিতা হাসিমুদ্দীন), এরফান আলী (পিতা লোকমান আলী), বসারত আলী (পিতা আবদুর রশিদ), মুসলিম মিয়া (পিতা আবদুর রহিম), নজর আলী (পিতা কিয়ামত আলী), মুনতাজ আলী (পিতা নজর আলী), মহসিন (পিতা ওসমান আলী), মুনসাদ আলী (পিতা ওসমান আলী), মুসলিম আলী (পিতা ওসমান আলী), হাসিমুদ্দিন (পিতা রশিদ মাঝি), রেজা (পিতা ইউসুফ আলী), আমজাদ আলী (পিতা রিয়াজ উদ্দিন), মুসসাদ (পিতা তাবু কবিরাজ), আকবর আলী (পিতা মুসলিম আলি), সাহেদ আলী (পিতা বিশারত আলী), এরফান আলী (পিতা শিশ মোহাম্মদ), গুদোড় আলী (পিতা রমজান মণ্ডল), হাসেন আলী (পিতা ইয়ার মোহাম্মদ), আবদুল মান্নান (পিতা হাসেন আলী), মকবুল আলী (পিতা কেয়াতুল্লাহ), শমসের আলী (পিতা ইউনুস আলী), গুধা (পিতা মো. কলিমুদ্দিন), আবদুল লতিফ (পিতা শাম মোহাম্মদ), দোস্ত মোহাম্মদ (পিতা আব্বাস মণ্ডল), এসলাম (পিতা আয়েশ উদ্দীন), সাইফুদ্দীন (পিতা আবদুল হাফিজ), আয়েশ উদ্দীন (পিতা রমজান), শমসের আলী (পিতা দিদার মোল্লা), খেদমত মণ্ডল (পিতা লোকমান আলী), সাহেন ইয়ার (পিতা মোহাম্মদ), এসলাম (পিতা ইউনুস আলী), আবদুর রাজ্জাক (পিতা ইউনুফ আলী), সিদ্দিক (পিতা আব্বাস মণ্ডল), ইউসুফ, আইউব (পিতা আলতাব) প্রমুখ। [মাযহারুল ইসলাম তরু]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!