দখিগঞ্জ গণহত্যা (রংপুর সদর)
দখিগঞ্জ গণহত্যা (রংপুর সদর) সংঘটিত হয় ৩রা এপ্রিল। এতে ১০ জন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারান।
রংপুর সদর উপজেলার দখিগঞ্জে পাকবাহিনী এক নির্মম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে। তারা ৩রা এপ্রিল মধ্যরাতে ১১ জন নিরীহ মানুষকে ধরে দখিগঞ্জ শ্মশানে নিয়ে যায়। সেখানে হাত-পা ও চোখ বাঁধা অবস্থায় বন্দিদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। পরে তাদের ওপর গুলি চালালে ঘটনাস্থলে ১০ জন প্রাণ হারান। লাশের স্তূপ থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাজহাট নিবাসী দীনেশ চন্দ্র ভৌমিক (মন্টু ডাক্তার) প্রাণে বেঁচে যান। দখিগঞ্জ গণহত্যায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন- ওয়াই এ মাহফুজ আলী জররেজ, ক্ষিতীশ হালদার, এহসানুল হক দুলাল, রফিকুল ইসলাম রফিক, গোপাল চন্দ্র, শান্তি চাকী, দুর্গাদাস অধিকারী, তোফাজ্জল হোসেন মহরম, উত্তম কুমার অধিকারী গোপাল ও পাগলা দরবেশ। এখানে নিহত ওয়াই এ মাহফুজ আলী জররেজ ছিলেন রংপুরের জনপ্রিয় সংস্কৃতিকর্মী। দখিগঞ্জ শ্মশানে পরে একটি স্মৃতিভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। [গীতিময় রায়]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড