You dont have javascript enabled! Please enable it!

দড়িকৃষ্ণপুর গণহত্যা (মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ)

দড়িকৃষ্ণপুর গণহত্যা (মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ) সংঘটিত হয় ২রা আগস্ট। এতে ২৮ জন নিরীহ গ্রামবাসী প্রাণ হারান।
দড়িকৃষ্ণপুর গ্রামটি মুক্তাগাছা সদর উপজেলা থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। গ্রামটিতে হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। ২রা আগস্ট পাকহানাদার বাহিনী তাদের এদেশীয় দোসর মুক্তাগাছার কুখ্যাত আলবদর কমান্ডার চাঁন ও সুরুজের সহযোগিতায় গ্রামটিতে গণহত্যা চালায়। তারা সেদিন হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের ২৮ জন নিরপরাধ নারী-পুরুষকে গুলি করে হত্যা করে। গণহত্যায় যারা প্রাণ হারান, তারা হলেন— রহমত আলী মণ্ডল (পিতা গুল মামুদ মণ্ডল), হোসেন আলী সরকার (পিতা উসমান আলী সরকার), আবদুল খালেক সরকার (পিতা উসমান আলী সরকার), আবদুল মজিদ শেখ (পিতা নাজির শেখ), আবদুর রাজ্জাক (পিতা জাহেদ আলী), জ্যোৎস্না বেগম (পিতা জাহেদ আলী), আবদুল মোতালেব মণ্ডল (পিতা গুল মামুদ মণ্ডল), রেজিয়া খাতুন (স্বামী আবদুল খালেক), আম্বিয়া খাতুন (পিতা আবুদল খালেক), মানিকজান বিবি (স্বামী আজগর আলী মণ্ডল), ময়না বেগম (স্বামী ইয়ার মামুদ), আসাদ আলী (পিতা লাল মামুদ), হযরত আলী (পিতা আসর আলী), হাসিনা বানু (স্বামী শের মামুদ মুন্সি), দিলজান বিবি (স্বামী আবদুল গণি মণ্ডল), হাজেরা খাতুন (পিতা আবুদল গণি মণ্ডল), নিতাই মালী (পিতা হণ্ডু মালী), রাণী মালী (পিতা হণ্ডু মালী), হাজেরা খাতুন (স্বামী মুনসুর আলী), ফিরোজা খাতুন (পিতা মুনুসর আলী), বানেছা খাতুন (স্বামী আহেদ আলী), ছমেদ আলী মণ্ডল (পিতা লাল মামুদ মণ্ডল), ছফুরন নেছা (স্বামী ছমেদ আলী মণ্ডল), ইয়াদ আলী মণ্ডল (পিতা কবির হোসেন মণ্ডল), নজিব উদ্দিন মণ্ডল (পিতা আবির উদ্দিন মণ্ডল), আমেনা খাতুন (স্বামী নজিব উদ্দিন মণ্ডল), হাবিবুর রহমান (পিতা ইমান আলী ক্বারি) ও আমির জান (স্বামী ইবরাহীম মুন্সি)। [শফিউদ্দিন তালুকদার]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!