দড়িমুকুন্দ গণহত্যা (শেরপুর, বগুড়া)
দড়িমুকুন্দ গণহত্যা (শেরপুর, বগুড়া) সংঘটিত হয় ২৬শে এপ্রিল সোমবার। এতে ২৬ জন মানুষ নিহত হয় ঘটনার দিন পাকবাহিনী শেরপুর উপজেলার দড়িমুকুন্দ গ্রামে হামলা চালিয়ে ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও গণহত্যা চালায়। তারা গ্রামবাসীদের ওপর ব্রাশফায়ার করলে ২৬ জন মানুষ নিহত হয়। ঘটনাক্রমে বেঁচে যান তছির উদ্দীন, ডা. মোখলেছুর রহমান বুলু ও ডা. জয়নাল আবেদীন (দন্ত চিকিৎসক)।
দড়িমুকুন্দ গণহত্যায় যারা নিহত হন, তাদের মধ্যে ২৪ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- আজহার আলী ফকির, ওসমান গনি ফকির, আজিজুর রহমান ফকির, একরামুল হক ফকির, সজির উদ্দিন, ছেকেন্দার আলী, বুলমাজন আলী, রমজান আলী, মোখলেছার রহমান, ইছাহাক আলী, আবেদ আলী, আলিম উদ্দিন, ছোবাহান আলী, গুইয়া প্রামাণিক, দলিল উদ্দীন, হাছেন আলী, উজির উদ্দীন, আয়েন উদ্দীন, আফজাল হোসেন, মোহাম্মদ আলী, আজিম উদ্দীন, নেওয়াজ উদ্দীন, হায়দার আলী ও জপি প্রামাণিক। পাকহানাদার বাহিনীর সদস্যরা এদের হত্যা করে রাস্তার পাশে একটি গর্তে গণকবর দেয়। মুক্তিযুদ্ধের পর স্থানটি চিহ্নিত করে ইটের ওয়াল দিয়ে ঘিরে রাখা হলেও এখন পর্যন্ত সেখানে কোনো স্মৃতিস্তম্ভ গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়নি। [সেলিনা শিউলী]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড